কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি – প্লে অফের লক্ষ্যে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে তিন পয়েন্ট দরকার ছিল মুম্বই সিটি এফসি-র। নিয়মরক্ষার ম্যাচে এটিকে-র কিছুই পাওয়ার ছিল না। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা ছিটকে গিয়েছে আগেই। চতুর্থ হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এই দুই দলের খেলায় যাদের যা দরকার ছিল সেটাই হল। এদিন জিতে মুম্বই ১৫ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানেই থাকল।আর এটিকে রইল অষ্টম স্থানে।  

গোটা মরসুম জুড়ে ধারাবাহিকতার অভাব দেখা গেছে আলেকজান্দ্রে গিমারায়েসের মুম্বই-এর। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেও সামান্য ভুগেছিল, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল হজম করে। ফুটবলে প্রচলিত কথা, প্রতিটি অর্ধের শুরু এবং শেষ দিকে বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। গোলের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে তখনই। এটিকে তখনই ফিরে এসেছিল খেলায়, গোলশোধ করে। কিন্তু, মুম্বইয়ের তাগিদ নিশ্চিতভাবেই বেশি ছিল, এগিয়ে যাওয়ার। তাই, আবারও এগিয়ে গিয়ে বাইরের মাঠ থেকে তিন পয়েন্ট তুলে নিয়ে যেতে সফল হয়।

মুম্বইকে প্রথমে এগিয়ে দিয়েছিলেন মার্সিও রোজারিও। বক্সের ঠিক বাইরে আনোয়ার আলি ফাউল করেছিলেন রাফা জোরদাকে। ফ্রি কিক পেয়েছিল মুম্বই। সেই ফ্রি কিক থেকে রোজারিওর শট সোজা গোলে। আটকানোর চেষ্টা করে বলে হাত লাগিয়েও এটিকে-র গোলরক্ষক সোরম পোইরেই বল বের করে দিতে পারেননি। দুর্দান্ত গোলের কারণে রোজারিওই ম্যাচের সেরা।

সেই গোল শোধ করে দিয়েছিলেন বিপিন সিং। দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরুর পরপরই। কোনর টমাস থ্রু বল পাঠিয়েছিলেন মুম্বই বক্সে। ঠিক সময় অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে বেরিয়ে এসে বিপিন বল ধরে মুম্বইয়ের গোলরক্ষক অমরিন্দরের দুপায়ের ফাঁক দিয়ে জালে বল পাঠিয়েছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরানোয় এটিকে-র সমর্থকরা হয়ত আশার আলো দেখেছিলেন। কিন্তু আবারও পিছিয়ে পড়ে ৫৩ মিনিটেই। রাফা জোরদা এবার সঞ্জু প্রধানের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দূরের পোস্টে বল রেখেছিলেন, পোইরেই-এর পক্ষে যা ধরা সম্ভব ছিল না।

মরসুমের মাঝখানে টেডি শেরিংহ্যাম সরে গিয়েছিলেন এটিকে কোচের দায়িত্ব থেকে, এসেছিলেন অ্যাশলে ওয়েস্টউড। এটিকে-র কিছুই বদলায়নি তারপরও। ওয়েস্টউড আসার পর মাত্র একটিই পয়েন্ট পেয়েছে কলকাতা, হারল রবিবারও।

চেষ্টা হয়েছিল বেশ কয়েকবার। পেছন থেকে লম্বা পাস খেলছিলেন এটিকের ফুটবলাররা, মুম্বই রক্ষণকে অতর্কিত আক্রমণে সমস্যায় ফেলতে। বিপিন সিংয়ের দৌড়েও বারবারই ছিল বিপদের গন্ধ। কিন্তু মুম্বই রক্ষণ সাময়িক সমস্যায় পড়লেও শেষ পর্যন্ত ধরে রাখল ব্যবধান। তাতে সাহায্য করল ক্রসবারও। পাঁচ মিনিটের ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে এটিকে ফ্রি কিক পেয়েছিল বক্সের ঠিক বাইরে। জোরালো শট নিয়েছিলেন রায়ান টেলর, যা অমরিন্দরকে পরাস্ত করেও বারে ধাক্কা খেয়ে ফিরে এসেছিল। রবিবার পয়েন্ট পেলে এটিকের বিশেষ কিছু লাভ হত না, ঠিক। কিন্তু এদিন মুম্বই জিতে প্রথম চারে পৌঁছনোর দৌড়ে টিকে রইল।

এখানে ম্যাচ হাইলাইট দেখুন: