হিরো আইএসএলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে এমনিতেই খুশি তিনি। আরও খুশি এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ হতে পেরে। এক সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মাতিয়ে আসা স্ট্রাইকার রবি ফাউলার জানিয়ে দিলেন, শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাবকে এ বারের হিরো আইএসএলের অন্য দলগুলির কাছে কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য তাঁর।

শনিবার হিরো আইএসএলের ইনস্টাগ্রামে এক লাইভ চ্যাটে ফাউলার বলেন, “হিরো আইএসএলের অভিষেকেই এসসি ইস্টবেঙ্গলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ পাওয়াটা দুর্দান্ত ব্যাপার। হিরো আইএসএলের প্রথম বছর থেকেই আমি এই লিগের ওপর নজর রেখে আসছি। আগের চেয়ে এই লিগের মান অনেক বেড়েছে। প্রতি বছরই উন্নততর ফুটবল দেখা যায় এই লিগে। প্রতিযোগিতাও ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। অভিষেকের মরশুমেই এসসি ইস্টবেঙ্গলকে অন্যান্য দলের কাছে যথাসাধ্য কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য”।

কেন ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিতে রাজি হলেন প্রাক্তন লিভারপুল তারকা, তা জানতে চাইলে ফাউলার জানান, “এই ক্লাবের গর্বের ইতিহাস ও সমর্থকদের উন্মাদনাই টেনে এনেছে আমাকে। এই ক্লাবের ইতিহাসের কথা শুনেছি। আর এসসি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা এই দেশের সেরা। এরা যখন আইএসএলে যোগ দেবে, তখন দলটাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। আমিও এই মহাযজ্ঞের একটা অংশ হয়ে উঠতে চেয়েছি। আমার কাছে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমার মনে হয়, এখানে ভাল কিছুই করে দেখাতে পারব”।

ভারতের তরুণ ফুটবলারদের প্রশংসা করেন ফাউলার। ইউমনাম গোপী সিং, এন রোহেন সিংদের মতো উঠতি ফুটবলারদের নিয়ে ফাউলার মন্তব্য করেন, “পারফেকশন কখনও সরাসরি আসে না। স্থানীয় খেলোয়াড়দের উন্নতি অবশ্যই দরকার। আইএসএলে যেমন বিদেশী ফুটবলার ম্যানেজাররা আসে, তেমনই ভারতীয় ফুটবলারদেরও এটা নিজেদের প্রমাণ করার জায়গা। ভাল দল তৈরি করতে গেলে স্থানীয় খেলোয়াড়দের উন্নয়ন অবশ্যই দরকার। আশা করি আমরা সেটা পারব এবং লিগ ক্রমশ উন্নত করবে এবং সেই সঙ্গে দলের উন্নতিও হবে”।

দলের বিদেশীদের নিয়েও অনেক আশা ফাউলারের। বলেন, “আমরা একটা ভাল দল গড়তে চেয়েছি। যে দলে এমন খেলোয়াড়রা থাকবে, যারা বল পায়ে সব সময়ই সাবলীল থাকতে পারে। শুধু নাম দেখে সই করাইনি ওদের। পারফরম্যান্স ভাল বলেই ওদের নেওয়া হয়েছে”।  স্কট নেভিল, ড্যানি ফক্স, অ্যান্থনি পিলকিংটন ও জাক মাঘোমাদের মতো তারকাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,  “নেভিল, ফ্ক্স—দুজনেই ষথেষ্ট ভাল ফুটবলার। আর আর মাঝমাঠে পিলকিংটন মাঘোমা খুবই শক্তিশালী। টেকনিকের দিক থেকে ওরা খুবই ভাল। ম্যাটি স্টাইনমান মাঠের অনেকটা জায়গা জুড়ে খেলতে পারে ও। বিশেষ করে মাঝমাঠে। অ্যারন আমাদি হ্যালওয়েকে নিয়েও আমার অনেক আশা। ওর ওপর যে আস্থা আমাদের রয়েছে, আশা করি ও সেই আস্থা আমাদের ওপরও রাখবে ও”।