হিরো আইএসএল ২০২০-২১ ফাইনালে দলের ডিফেন্ডারদের ও গোলকিপারের বোঝাপড়ার ভুলের খেসারত তাঁদের দিতে হয়েছিল—বিশেষজ্ঞদের এই মত মানতে রাজি নন এটিকে মোহনবাগানের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ও অধিনায়ক প্রীতম কোটাল। তাঁর ব্যাখ্যায়, অন্য কারণে এমন দুর্ভাগ্যজনক হার স্বীকার করতে হয়েছিল তাঁদের। কী সেই কারণ? কেনই বা লিগের শেষ দিকে টানা ছ’টি ম্যাচে অপরাজিত থাকার পরে নক আউট পর্বে একটির বেশি ম্যাচ জিততে পারেনি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড? এ প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও ভারতীয় ফুটবলের অন্যান্য সাম্প্রতিক বিষয়ে indiansuperleague.com-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মনের কথা বললেন ভারতীয় ফুটবলের এই অভিজ্ঞ তারকা। তারই কিছু অংশ তুলে ধরা হল। 

এই করোনা আবহে নিজেকে সুস্থ ও ফিট রাখছেন কী ভাবে?

সময়টা সত্যিই খুব খারাপ। চারদিকে ভয়ঙ্কর অবস্থা। এই অবস্থায় বাইরে গিয়ে প্র্যাকটিস করা অসম্ভব। তাই আমি নিজের বাড়িতে তৈরি জিমে নিয়মিত ওয়ার্কআউট করি আর বাড়ির ছাদে রোজ উইথ দ্য বল প্র্যাকটিস করি। কঠোর করোনাবিধি মেনে চলছি। এ ভাবেই এখন পর্যন্ত নিজেকে ফিট আর সুস্থ রেখেছি।   

এই সময়ে মলদ্বীপে এএফসি কাপে নেমে পড়ার কথা ছিল আপনাদের। সেটা না হওয়ায় কি হতাশ?

এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা, শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বে কোভিডের ভয়াবহ প্রভাব দেখা দিয়েছে। তাই এমন একটা সিদ্ধান্ত মেনে নিতেই হবে। পরিস্থিতি বিচার করেই এএফসি কর্তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্তটা ফুটবলারদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই নেওয়া হয়েছে। আপাতত ম্যাচগুলো স্থগিত রাখা হয়েছে। আবার নিশ্চয়ই নতুন সূচি দেওয়া হবে। যখন ফের নতুন সূচি প্রকাশিত হবে, তখন আমরা ভাল ভাবে প্রস্তুতি নেব।

এএফসি কাপে নামার জন্য কি নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলেছিলেন?

অবশ্যই। কারণ, এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রধান ফোকাস ছিল এএফসি কাপেই। সে খেলোয়াড় বলুন বা কোচ, কর্মকর্তা—সবার পরিকল্পনাতেই এএফসি কাপ ছিল। তাই আমরা যে যার মতো প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছিলাম। তবে দলগত প্রস্তুতি শুরু করতে পারিনি। সেটা শুরু করার আগেই ম্যাচগুলো স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তবে আমরা সবাই প্রস্তুত ছিলাম। কোচের (হাবাস) সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। ফিটনেস ট্রেনার আমাদের অনলাইনে শিডিউল দিচ্ছিলেন নিয়মিত। ভিডিও পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন। আমরা সেই শিডিউল ও ভিডিও দেখে যে যার নিজের জায়গায় থেকে ফিজিকাল ট্রেনিং করছিলাম।   

এ বার হিরো আইএসএল ২০২০-২১-এর কথায় আসা যাক। উদ্বোধনী ম্যাচ (কেরল ব্লাস্টার্স) ও কলকাতা ডার্বি জেতার পরে আপনারা জামশেদপুর ও নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে হেরেছিলেনপরে ওদের বিরুদ্ধে জিতে তার বদলা নিয়ে নেন। কিন্তু মুম্বই সিটি এফসি-কে কোনওবারই হারাতে পারেননি। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আপনাদের আসল সমস্যাটা কী ছিল?

মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে বারবার হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে আমার নিজের যেটা মনে হয়েছে, সেটাই বলি। প্রথম লেগে যে গোলটা আমরা খেয়েছিলাম, ওগবেচে দিয়েছিল, সেটা আমাদেরই দু-একজন খেলোয়াড়ের ভুলে হয়েছিল। দল হিসেবে কিন্তু মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আমরা খুব ভাল খেলেছি। ওই গোলটা হওয়ার আগে কিন্তু আমাদের এডুর একটা শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয় লেগেও প্রায় একই অবস্থা হয়। ম্যাচে আমরা জানতাম যে ওরা সেট পিসে খুবই ভাল। মুর্তাদা ফল, ওগবেচে, লে ফন্দ্রের মতো ভাল ফুটবলার রয়েছে। এরা ভাল হেডার। তাই ওদের কড়া মার্কিংয়ে রাখার দায়িত্ব ছিল আমাদের। কিন্তু আমরা সেই দায়িত্ব নিখুঁত ভাবে পালন করতে পারিনি। ফল গোল করে দেয়। বক্সের সামনে ফাউল করতে বারণ করেছিলেন কোচ। তবু আমরা ফাউল করেছি। সেই থেকেও গোল হয়েছে। পরের দিকে আমরা গোল শোধ করার অনেক চেষ্টা করেছি, তবে পারিনি। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বোধহয় জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল না। লিগের প্রথম ও ফাইনাল ম্যাচে কিন্তু আমরা জেতার মতো খেলেছিলাম।    

ফাইনালে এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেও তিরির নিজ গোল এবং শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা অনেকে গোলকিপার ও ডিফেন্ডারদের মধ্যে সঠিক বোঝাপড়ার অভাবকে দায়ী করেছিলেন। আপনার ব্যাখ্যা কী?

দেখুন, ফাইনালে দুটো সেরা দল মুখোমুখি হয়েছিল। আর এই ধরনের ম্যাচে ছোটখাটো ভুলগুলোই বড় হয়ে দেখা দেয়। আমাদের সে রকমই কয়েকটা মাত্র ছোটখাটো ভুলের জন্যই ফাইনালে হারতে হয়। না হলে আমরা সে দিন কতটা ভাল ফুটবল খেলেছিলাম, তা আশা করি সবাই দেখেছেন, সবাই জানেন। আর ডিফেন্ডারদের সঙ্গে গোলকিপারের বোঝাপড়ার অভাব নিয়ে যে কথা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটা তাঁরা খেলাটা দেখে যেরকম বুঝেছেন, সেরকমই বলেছেন। তাঁদের পর্যবেক্ষণকে আমি শ্রদ্ধা করি।

তবে আমার ব্যাখ্যা হল, দ্বিতীয়ার্ধে আমরা একটু বেশিই উঠে খেলছিলাম। প্রথম গোলের আগে (তিরির নিজ গোল) যে লং বলটা উড়ে এসেছিল, সবাই নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন, সেটা আমাদের অনেকটা ওপর দিয়ে আসে। তাই অরিন্দমদা (ভট্টাচার্য) এগিয়ে এসে বলটা ক্লিয়ার করতে গিয়েছিল। অরিন্দমদার হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তটা হয়তো ভুল ছিল। দোনোমনা করে ফেলেছিল হয়তো। যখনই একটা দল একটু ওপরের দিকে উঠে খেলবে, স্বাভাবিক ভাবেই গোলকিপার তখন কিছুটা এগিয়ে এসে খেলবে। আমাদের সে রকমই নির্দেশ ছিল যে, যখনই আমরা, ডিফেন্ডাররা একটু ওপরে উঠে খেলব, তখন গোলকিপারও একটু এগিয়ে থাকবে। সেই নির্দেশ অনুযায়ীই আমরা খেলছিলাম। বলটা যখন ওদের বক্সের সামনে থেকে উড়ে আসে, তখন আমরা তিন ডিফেন্ডারই একটু উঠে ছিলাম। তাও সেটা গোলকিপারের আয়ত্তের মধ্যই ছিল। কিন্তু মুহূর্তের ভুলের জন্য গোলটা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বোঝাপড়ার অভাব বা মিসকমিউনিকেশন কোনওটাই হয়নি। আমরা মাঠে থেকে এটাই বুঝেছি।

লিগের শেষ দিকে টানা ৬টি ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন আপনারা। হারিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু এফসি ও এসসি ইস্টবেঙ্গলের মতো দলকেকিন্তু তার পরে নক আউট পর্বে পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জেতেন। এই হঠাৎ অবনতির কারণটা কী?

একটা ভাল টিম সবসময় ছন্দ বজায় রেখে চলে। স্রোতের মতো এগিয়ে যায়। আমাদের পারফরম্যান্সেও কিন্তু সে রকমই ধারাবাহিকতা ছিল। এর মধ্যেই আমাদের কয়েকজন নির্ভরযোগ্য ফুটবলারের চোট-আঘাত সমস্যা দেখা দিল। এডু (গার্সিয়া), হাভি (হার্নান্ডেজ), কার্লকে (ম্যাকহিউ) কয়েকটা ম্যাচে পেলাম না। প্রথম সেমিফাইনালে আমরা তিরি, সন্দেশ দু’জনকেই মিস করলাম। এ ভাবে দলের কিছু ক্ষতি তো হয়েছেই। তাও যারা খেলেছি, তারা ভাল খেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওই যে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যে চোট-আঘাতগুলো হয়ে গেল, সেগুলোর রিকভারি হতে দেরি হওয়ায় আমরা কিছুটা হলেও দুর্বল হয়ে গেলাম।

অনেকের ধারণা তিরি ছন্দ হারানোয় এবং সন্দেশ ঝিঙ্গন চোট পাওয়ায় আপনাদের ডিফেন্স লাইন-আপ বেশ দুর্বল হয়ে যায়। প্রথম সেমিফাইনালে এদের দুজনকেই পাওয়া যায়নি। কার্ল ম্যাকহিউ ও আপনি সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে খেলেছিলেনদুদিকে প্রবীর ও শুভাশিস। ডিফেন্সের সেট কম্বিনেশনটা ভেঙে যাওয়াটা কি বড় সমস্যা হয়ে ওঠে?

একটা সেট টিম খেলতে খেলতে আত্মবিশ্বাস চলে আসে। সেই টিমে একজন খেলোয়াড়ও বসে গেলে দলে তার প্রভাব পড়ে। ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলোর দিকে দেখলেও কিন্তু একই জিনিস দেখা যায়। লিভারপুলের দু-তিনজন খেলোয়াড়ের চোটের জন্য আজ দলটা কোন জায়গায় চলে গিয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এ বার পাঁচ নম্বরে নেমে গিয়েছে। এটা হবেই। যে সেমিফাইনাল ম্যাচের কথা বলছেন, সেই ম্যাচে কার্ল আমার সঙ্গে স্টপার হিসেবে খেলে। ও সাধারণত সামনের দিকে খেলে। সেখানে ও সেন্ট্রাল ডিফেন্সে কিছুটা হলেও স্বচ্ছন্দে ছিল না হয়তো। তাও আমরা এক গোলে এগিয়ে থাকার পরে গোল খেয়ে যাই। কিন্তু আমাদের ডিফেন্সে একটু ম্যানেজ করতে হয়েছে। এ ভাবে পুরো দলের খেলাটাই বদলে যায়।   

মুম্বইয়ের সঙ্গে ড্র করলেই লিগশিল্ড পেতেন আপনারাএত কাছে গিয়েও ফিরে আসার হতাশাই কি ফাইনালে প্রভাব ফেলে?

কখনওই না। মুম্বইয়ের কাছে শেষ ম্যাচে হেরে খারাপ লেগেছিল ঠিকই, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (এসিএল) এত কাছে এসেও পারিনি বলে। কিন্তু হতাশায় ডুবে যাইনি কেউই। তখনই আমাদের ফোকাসটা পুরো চলে যায় নক আউট পর্বের দিকে। তখন আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল, যা হয়েছে, সেই বাস্তবটা মেনে নিয়ে চ্যাম্পিয়নের ট্রফিটা জেতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ো। এটা আমাদের ড্রেসিং রুমে, টিম মিটিংয়ে তখন আলোচনাও হত যে, এসিএলে সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। পরের বার সেই সুযোগ আবার পেতে হবে। কিন্তু এ বার আমাদের চ্যাম্পিয়নও হতে হবে। আর আমরা ৯৫ মিনিট ধরে যে ফুটবলটা খেলেছিলাম, তাতে হারটা আমাদের প্রাপ্য ছিল না।

ব্যক্তিগত ভাবে আপনার কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, হিরো আইএসএলের লিগশিল্ড, নাকি চ্যাম্পিয়নের ট্রফি। যে কোনও একটা বাছতে বললে কোনটা বাছবেন?

চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা তো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এসিএলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে এটিকে মোহনবাগান ক্লাব আরও একধাপ ওপরে উঠতে পারত, আরও উঁচু স্তরের একটা মঞ্চে, মানে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগটা পেত। এটা একটা বাড়তি মোটিভেশন। এটিকে মোহনবাগান দেশের অন্যতম সেরা ফুটবল ক্লাব, তা সবাই জানে। তাই ওই জায়গাটায় আমাদের যাওয়া দরকার ছিল। আমাদের দল যে রকম, তাতে আমরা হয়তো পরের রাউন্ডেও উঠতে পারতাম। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এই সুযোগটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

সম্প্রতি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এফসি গোয়ার পারফরম্যান্স নিয়ে কী বলবেন?

খুবই ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে ওরা। অনেকেই বলেছিল, এফসি গোয়া পারবে না, বিদেশের অন্যান্য দলগুলো এত ভাল যে, ওদের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। আমরা তো মাঠে নামার আগে বাইরের পরিবেশেই হেরে যাই, বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করতে পারেন না যে, ভারতের কোনও ক্লাব দল বিদেশের কোনও ভাল ক্লাবের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে পারে। তাদের ধারণা ভেঙে দিয়ে গোয়া দেখিয়ে দিল আমরাও পারি। এ বার ভারতের যে ক্লাবগুলো এসিএলে খেলবে (আগামী মরশুমে মুম্বই সিটি এফসি), তারা গোয়ার এই ফর্ম দেখে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস পাবে। ওই স্তরে গিয়ে যে গোয়া এত উঁচু স্তরের ফুটবল খেলেছে, তা দেখে সত্যিই খুব ভাল লেগেছে। ওরা পরের রাউন্ডে যাওয়ার মতোই খেলেছে। কিন্তু ওদের দুর্ভাগ্য যে সেটা হয়নি।

ধীরজ সিংয়ের পারফরম্যান্স নিয়ে কী বলবেন? ধীরজ তো গতবার আইএসএলের বেশিরভাগ সময়ই আপনাদের শিবিরেই ছিলেন

ধীরজ খুবই পরিশ্রমী। ও মাঠে খুব খাটে। প্রচুর ঘাম ঝরায়। ওকে সব সময়ই প্র্যাকটিসে নিজের সেরাটা দিতে দেখেছি। খেলার সুযোগ পাক বা না পাক, নিজেকে পুরোপুরি তৈরি রাখার জন্য যা যা করা দরকার, তা সব সময়ই করে ও। তারই ফল ও পেয়েছে এসিএলে। যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, তা সত্যিই অসাধারণ। আমরা জানতাম যে, ও যদি অন্য ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ পায়, তা হলে ও নিজেকে প্রমাণ করবেই। সত্যিই ও অনেক উন্নতি করেছে। তবে ওকে আরও উন্নতি করতে হবে, যেটা ও পারবেও। আমাদের দলে যখন ছিল, তখন অরিন্দমদা ধারাবাহিক ভাবে এত ভাল ফর্মে ছিল যে, দুর্ভাগ্যবশত ধীরজ সুযোগ পাচ্ছিল না। সে জন্যই ক্লাব ওকে অন্য কোনও ক্লাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে ও নিয়মিত খেলার সুযোগ পেতে পারে। ক্লাবের এই সিদ্ধান্তের জন্য ওর খুবই ভাল হয়েছে। ধীরজের জন্য আমি খুবই খুশি। চাইব আরও ভাল খেলুক।