চলতি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্যায়ে পরপর দুই ম্যাচে দুই শক্তিশালী দলকে আটকে দেওয়ার পর এফসি গোয়ার স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো খুশি ঠিকই। কিন্তু কিছু কিছু চিন্তা রয়েই গিয়েছে তাঁর মাথায়। ছোটখাটো কিছু বিষয়ে পরিবর্তন এনে দলের পারফরম্যান্সে আরও উন্নতি চান তিনি।

শনিবার রাতে গোয়ার ফতোরদায় জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচের চেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য আরও উন্নত ফুটবল খেলে এফসি গোয়া। দ্বিতীয় ম্যাচেও তারা ছিল গত ম্যাচের মতোই অপ্রতিরোধ্য মেজাজে। তবে এই ম্যাচে মাঝমাঠ ও আক্রমণেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যায় শনিবার। আল ওয়াহদার দীর্ঘদেহী ফুটবলারদের বিরুদ্ধে শুধু যে ডিফেন্ডারদের দক্ষতার পরিচয় পাওয়া গিয়েছে, তা-ই নয়, দলের আক্রমণ বিভাগও এ দিন ছিল সমান তৎপর। শনিবার রাতে এই ম্যাচের পরে দলের খেলায় খুশি কোচ ফেরান্দো কী কী বললেন সাংবাদিকদের, তা দেখে নেওয়া যাক।

আল ওয়াহদার বিরুদ্ধে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে:

আমরা দুর্দান্ত একটা দলের বিরুদ্ধে খেলেছি। আক্রমণে আমরা বেশ খানিকটা উন্নতি করেছি। বিশেষ করে পজিশনাল অ্যাটাকে। সে জন্য আমি খুশি। এটা শুধু আমাদের সমস্যা নয়, সব দলেরই সমস্যা। খেলোয়াড়রা খুব ক্লান্ত। যার ফলে ম্যাচের শেষ দিকে আমাদের রক্ষণে কৌশল পাল্টাতে হয়। ফলে পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে ওঠে। পরের ম্যাচেও রক্ষণে আমাদের কৌশল বদলাতে হবে। দল জেতার জন্য লড়াই করার জায়গায় আছে। তবে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। নতুন লক্ষ্যস্থীর করতে হবে।

দলের আক্রমণে ফিনিশিং-এর অভাব প্রসঙ্গে:

শুধু আমরা নই ওরাও (আল ওয়াহদা) অনেক সুযোগ পেয়েছিল। ফলে ম্যাচটা জমে ওঠে। এই জায়গাটাতেই আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। দুই ম্যাচের মাঝখানে প্রস্তুতির জন্য তেমন সময় পাওয়া যাচ্ছে না। দলের ছেলেরা খুব ক্লান্তও হয়ে পড়ছে। রক্ষণ ও আক্রমণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে আমাদের। আমরা সুযোগগুলো কিন্তু সেট পিসে পাইনি। বরং আক্রমণ করতে উঠে পেয়েছি। প্রতি আক্রমণের ক্ষেত্রে যেটা সমস্যা হচ্ছে, ফাইনাল থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছি। বক্সের মধ্যে বল নিয়ন্ত্রণে রাখাটা কঠিন হয়ে উঠছে। এই জায়গাটাতে উন্নতি করতে হবে আমাদের। ছোটখাটো ডিটেলগুলো আরও মেজে-ঘষে নিলে পারফরম্যান্সে আরও উন্নতি আসবে বলেই আমার মনে হয়। তাই আমি উদ্বিগ্ন নই।

আমার দলের ছেলেদের আমি খুব ভাল করে চিনি। ওরা প্রতিদিন উন্নতি করতে চায়। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এই খেলোয়াড়দের সঙ্গে ও কোচিং স্টাফের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ। তবে, দুদিনের মধ্যে যে আমাদের পার্সেপোলিসের বিরুদ্ধে খেলতে হবে, এ সবের মধ্যে তা ভুললে চলবে না। আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নতুন কৌশল নিয়ে কাজ করতে হবে, উন্নতিও করতে হবে।

গোলকিপার ধীরজ সিং মোইরাঙথেমকে নিয়ে:

আল ওয়াহদা দু-তিনটে দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ধীরজ সুপারম্যান হয়ে ওঠে। দারুন কিছু সেভ করেছে ধীরজ। তবে ওকে পাসিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে। কারণ, আমাদের যা খেলার স্টাইল, তাতে আমরা আক্রমণ তৈরি করি একেবারে পিছন থেকে। ধীরজ অনূর্ধ্ব ১৭ ভারতীয় দলে খেলেছে। হিরো আইএসএলে তেমন বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। তবে এখন সকলেই জানতে পারছে ও কত ভাল গোলকিপার। মাত্র কুড়ি বছর বয়স ছেলেটার। ওর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বেশ ভাল।