প্রথমবার ফাইনালে উঠেই খেতাব জিতে নিল মুম্বই সিটি এফসি। দু’সপ্তাহ আগে লিগশিল্ডও জিতেছিল তারা। যাদের হারিয়ে লিগ-সেরা হয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নেয় মুম্বই, শনিবার ফতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে সেই এটিকে মোহনবাগানকেই ২-১ হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের ট্রফিও অর্জন করে নিল তারা।

টানটান উত্তেজনায় ভরা ম্যাচে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ফল ১-১ থাকার পরে বিপিন সিংয়ের গোলে ফাইনাল জিতে নেয় তারা। ১৮ মিনিটের মাথায় ডেভিড উইলিয়ামসের গোলে এটিকে মোহনবাগান এগিয়ে যাওয়ার পরে তাঁরই সতীর্থ স্প্যানিশ ডিফেন্ডার তিরির নিজ গোলে সমতা আনে মুম্বই সিটি এফসি। সব শেষে মণিপুরী মিডফিল্ডার বিপিনের গোলে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয় এবং শেষ হাসি হাসেন বিপিন ও তাঁর সতীর্থরাই।

তৃতীয়বার দলকে ফাইনালে তুললেও এ বার তাদের ট্রফি এনে দিতে পারলেন না এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। আগের দু’বারই তিনি তাঁর দলকে ফাইনালে তোলার পরে ব্যর্থ হননি। কিন্তু এ বার কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা না পাওয়ায় এবং দু’টি মুহূর্তে দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়ার ভুলে তৃতীয় আইএসএল ট্রফিটি পাওয়া হল না তাঁর।

অন্য দিকে, হাবাসের চেয়ে বয়সে ১৯ বছরের ছোট ও তাঁরই স্বদেশীয় মুম্বই সিটি এফসি-র কোচ সের্খিও লোবেরা মুম্বইয়ের দলের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম বছরেই তাঁদের জোড়া সম্মান এনে দিলেন। গতবার তাঁর প্রশিক্ষণাধীন এফসি গোয়া লিগশিল্ড জিতলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। সেই খেতাব জিতে নিয়েছিল হাবাসের এটিকে এফসি। 

  • ১২ মিনিট: বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া হাভিয়ে হার্নান্ডেজের মাপা ফ্রি কিক পোস্টে লাগে।
  • ১৮ মিনিট: নিজেদের গোল এরিয়ায় অমেয় রানাওয়াডে ব্যাকপাস করেন মুর্তাদা ফলকে। তিনি অমরিন্দরকে ব্যাক পাস করেন এবং সেই বল ছিনিয়ে নিয়ে গোল দেন ডেভিড উইলিয়ামস। (১-০)
  • ২৯ মিনিট: আহমেদ জাহুর পা থেকে একটি লং বল উড়ে যায় বিপিন সিংয়ের উদ্দেশ্যে। বিপিনের সামনে থাকা তিরি হেড করলে বল গোলের দিকে চলে যায়। গোললাইন থেকে অনেকটা এগিয়ে আসা অরিন্দম সেই বলের নাগাল পাননি। (১-১)
  • ৪৫ মিনিট: শুভাশিস বসুর সঙ্গে প্রবল সঙ্ঘর্ষে অমেয় নানাওয়াডে মাথায় গুরুতর চোট পান। প্রায় ৭-৮ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।
  • ৫৬ মিনিট: হার্নান সান্তানার বাঁকানো ফ্রি কিক অরিন্দম পাঞ্চ করে বার করে না দিলে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত মুম্বই সিটি এফসি।
  • ৫৮ মিনিট: লে ফন্দ্রের গোলমুখী শট অরিন্দমের হাতে লেগে ফিরে এলে সামনে ফাঁকা গোল পেয়েও তা বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন বুমৌস।
  • ৭২ মিনিট: বক্সের বাইরে থেকে গোলের ঠিকানা লেখা দূরপাল্লার শট নেন হাভিয়ে হার্নান্ডেজ। এ বার বল অমরিন্দরের হাতে লেগে পোস্ট ছুঁয়ে বাইরে চলে যায়।
  • ৭২ মিনিট: অরিন্দম বক্সের বাইরে একটি লং বলকে বুক দিয়ে রিসিভ করতে গিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে ওগবেচে গোলের পাস সাজিয়ে দেন বিপিন সিংয়ের জন্য। সোজা গোলে শট নেন বিপিন। (১-২)

দুই কোচই হিরো আইএসএল ৭-এর ফাইনালে দলে কোনও পরিবর্তন না করেই প্রথম এগারো নামান। এটিকে মোহনবাগানের কোচ হাবাস যেখানে ৩-৫-২-এ দল সাজান, সেখানে লোবেরা ৪-২-৩-১-এ তাঁর প্রথম এগারো সাজান।

মুম্বই শুরু থেকে অযথা ঝুঁকি নিতে না চাইলেও এটিকে মোহনবাগান কিন্তু শুরু থেকেই বিপক্ষকে চাপে রাখার চেষ্টা শুরু করে। এটাই দুই দলের খেলার স্টাইলের ফারাক। গঙ্গাপাড়ের দল শুরু থেকেই যতটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে পছন্দ করে, সাগরপাড়ের দল কিন্তু ধীর-স্থির ভাবে প্রতিপক্ষকে পরখ করে নিয়ে তার পরে তাদের এলাকায় হানা দেওয়া বেশি পছন্দ করে।

চনমনে এটিকে মোহনবাগান ১২ মিনিটের মাথাতেই গোল করে এগিয়ে যেতে পারত, যদি হাভিয়ে হার্নান্ডেজের দূরপাল্লার ফ্রি কিক পোস্টে ধাক্কা না খেত। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মাপা ফ্রি কিক দূরের পোস্টে গিয়ে লাগে। ১৬ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা রয় কৃষ্ণা দুর্দান্ত একটি সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। বক্সের বাঁ দিকে অনেকটা ঢুকে গিয়ে তিনি গোলের দিকে কোণাকুণি শট নেন। কিন্তু তা আটকে দেন মুম্বইয়ের গোলকিপার অমরিন্দর সিং। ফিরতি বলে হাভি জোরালো শট নিলেও তা গোলের বাইরে দিয়ে উড়ে যায়।

এই দুই আক্রমণের আগে দশ মিনিটের মাথায় অবশ্য মুম্বইয়ের বিপিন সিং অ্যাডাম লে ফন্দ্রের ব্যাক ফ্লিক থেকে বল পেয়ে বিপজ্জনক ভাবে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন। তাঁকে প্রীতম কোটাল বাধা দিলে বিপিন মাঠে পরে যান। তাঁর সতীর্থরা পেনাল্টির জন্য আবেদন জানাতে থাকলেও রেফারি তেজশ নাগভেঙ্কর তাতে সাড়া দেননি।

দুটি আগ্রাসী আক্রমণের পরে অবশ্য আরও চনমনে হয়ে ওঠে এটিকে মোহনবাগান এবং ১৮ মিনিটের মাথায় ডেভিড উইলিয়ামসের গোলে এগিয়ে যায় কলকাতার দল। গোলটার জন্য দায়ী অবশ্য মুম্বইয়ের রক্ষণ। তাদের পা থেকে বল কেড়ে নিয়েই গোলে শট নেন ডেভিড। নিজেদের গোল এরিয়ায় অমেয় রানাওডে ব্যাকপাস করেন মুর্তাদা ফলকে। ফলের পা থেকে বল কাড়তে যান রয় কৃষ্ণা এবং তাড়াহুড়োতে ফল অমরিন্দরকে ব্যাক পাস করেন এবং সেই বল ছিনিয়ে নিয়েই বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেন ডেভিড। তিনি গোল করলে দল হারে না, এ বারের লিগে চলতি এই প্রবাদ অবশ্য এ দিন সত্যি প্রমাণিত হয়নি।

শুরুটা যে এমনই চেয়েছিলেন তাঁদের কোচ হাবাস, তা তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা যায়। এ বারের হিরো আইএসএলে এই প্রথম কোনও ম্যাচে এটিকে মোহনবাগান কুড়ি মিনিটের মধ্যে গোল করে এগিয়ে যায় এবং সেটা ফাইনালে। 

কিন্তু হাবাসদের এই উল্লাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি এবং তা পুরোপুরি নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির ফলেই। ২৯ মিনিটের মাথায় আহমেদ জাহুর পা থেকে একটি লং বল উড়ে যায় এটিকে মোহনবাগানের বক্সের দিকে, বিপিন সিংয়ের উদ্দেশ্যে। বিপিনের সামনে ছিলেন তিরি। তিনি হেড করে বলটি ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর মাথার পিছনে লেগে বল গোলের দিকে চলে যায়। গোললাইন থেকে অনেকটা এগিয়ে আসা অরিন্দম গোলের দিকে যাওয়া বলের নাগাল পাননি। তিরি ও অরিন্দমের মধ্যে অপ্রত্যাশিত ভুলবোঝাবুঝির মাশুল দিতে হয় তাঁদের দলকে।

পরের মিনিটেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন হুগো বুমৌস। রেইনিয়ে ফার্নান্ডেজ তাঁকে স্কোয়ার পাস দেন। গোলের সামনে থেকে শট নেন বুমৌস, কিন্তু তা বাঁচিয়ে দেন অরিন্দম। ৩৬ মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে অ্যাডাম লে ফন্দ্রের নিখুঁত ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারলে গোল পেতেন বিপিন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে রয় কৃষ্ণা ফল ও রানাওয়াডেকে ধোঁকা দিয়ে বাঁ দিকের কর্নার ফ্ল্যাগের সামনে থেকে কাট করে বক্সে ঢুকে শট নেন। কিন্তু তা সাইড নেটে গিয়ে লাগে।

এর পরেই মাঠের মধ্যে এমন এক দূর্ঘটনা ঘটে যায় যে অমেয় রানওয়াডেকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে পাঠাতে হয়। শুভাশিস বসুর সঙ্গে প্রবল সঙ্ঘর্ষে অমেয় গুরুতর চোট পান এবং তিনি সাময়িক অচৈতন্য হয়ে পড়েন। সম্ভবত মাথায় চোট লাগে তাঁর। অনেকক্ষণ তিনি মাঠে পড়ে ছিলেন এবং প্রায় ৭-৮ মিনিট খেলা বন্ধ রেখে তাঁর চিকিৎসার পরে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রথমার্ধ যে গতিতে শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান, দ্বিতীয়ার্ধ সেই গতিতেই শুরু করে মুম্বই সিটি এফসি। তবে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগানও। ফলে দুই দলের প্রতিদ্বন্দিতায় তীব্রতা আরও বাড়ে। ৪৭ মিনিটের মাথায় বক্সের মাথা থেকে নেওয়া মনবীরের শট গোলের বাইরে চলে যায়। ৫২ মিনিটের মাথায় রেইনিয়ে ফার্নান্ডেজ বিপক্ষের দুই ফুটবলারকে ডজ করে বক্সের মাথা থেকে শট নেন। অরিন্দম তা আটকে দেন। ৫৬ মিনিটের মাথায় হার্নান সান্তানার বাঁকানো ফ্রি কিক অরিন্দম পাঞ্চ করে বার করে না দিলে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত মুম্বই সিটি এফসি।

এর পরেই সিটার মিস করেন হুগো বুমৌস। ৫৮ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে উঠে প্রথমে তিনি লে ফন্দ্রেকে বক্সের মধ্যে বল বাড়ান। লে ফন্দ্রের গোলমুখী শট অরিন্দমের হাতে লেগে তাঁর পায়ে ফিরে এলে সামনে ফাঁকা গোল পেয়েও তা বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন বুমৌস।

রয় কৃষ্ণা অফসাইডে থাকায় এটিকে মোহনবাগানের গোল বাতিল হয়ে যায় ৬১ মিনিটের মাথায়। হাভির দূরপাল্লার ফ্রিকিক বক্সের মধ্যে অমেয়র পরিবর্তে নামা মহম্মদ রাকিপের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে গেলেও সহকারী রেফারি অফসাইডের সঙ্কেত দেওয়ায় সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। সবুজ-মেরুন শিবিরের ফুটবলাররা এই অফসাইডের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলেও দুই রেফারি আলোচনার পর তাঁদের আবেদন নাকচ করে দেন।

এই ঘটনার পাঁচ মিনিট পরে, ৬৬ মিনিটের মাথায় ফের বক্সের মধ্যে হাভি লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। তবে তার ছমিনিট পরে বক্সের বাইরে থেকে গোলের ঠিকানা লেখা দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। এ বার বল অমরিন্দরের হাতে লেগে পোস্ট ছুঁয়ে গোলের বাইরে চলে যায়। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা মনবীর তাঁকে ব্যাকপাস করে সুযোগটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। মনবীর এবং হাভি দুজনেই সম্ভবত লিগের সেরা ফর্মে ছিলেন এ দিন। কিন্তু তা দলের সাফল্যে কাজে লাগেনি।    

৭১ মিনিটের মাথায় আক্রমণে ধার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে লে ফন্দ্রের জায়গায় বার্থোলোমিউ ওগবেচেকে নামান মুম্বইয়ের কোচ লোবেরা।  ৮৪ মিনিটের মাথায় হুগো বুমৌসকেও তুলে নেন তিনি। নামান সি গদার্ডকে। অন্যদিকের ডাগ আউট থেকে লেনির জায়গায় জয়েশ রানে ও শেষে মার্সেলিনহোও নামেন মাঠে। অন্যেরা কোচেদের খুশি করতে না পারলেও ওগবেচেকে নামানোর সিদ্ধান্তেই শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে মুম্বই।

নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে যে ভাবে জয়সূচক গোলটি করে মুম্বই সিটি এফসি, তাকে অভাবনীয় বললেও কম বলা হয়। অরিন্দম একটি লং বল বুক দিয়ে রিসিভ করতে বক্সের বাইরে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তিনি। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে যান ওগবেচে। ক্ষিপ্র ওগবেচেকে আটকাতে গিয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েন অরিন্দম। সন্দেশ ঝিঙ্গনও তাঁকে বাধা দিতে যান। কিন্তু তাঁকেও বোকা বানিয়ে কাট করে পিছনে, ডানদিকে সরে গিয়ে ওগবেচে প্রায় গোল সাজিয়ে দেন বিপিন সিংয়ের জন্য। এ বারের লিগের একমাত্র হ্যাটট্রিকের নায়ক বিপিন তাঁর কাজটি করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি। সোজা গোলে শট নেন।

গোলশোধের জন্য মরিয়া এটিকে মোহনবাগান চার মিনিটের স্টপেজ টাইমে পরপর দুবার কর্নার আদায় করলেও শেষ পর্যন্ত সেগুলো কাজে লাগিয়ে ফের সমতা আনতে পারেনি। এই মরশুমে আর মুম্বই সিটি এফসি-কে হারানোর ইচ্ছাপূরণ হল না তাদের।         

এটিকে মোহনবাগান দল: অরিন্দম ভট্টাচার্য (গোল), প্রীতম কোটাল, তিরি, সন্দেশ ঝিঙ্গন, শুভাশিস বসু, লেনি রড্রিগেজ (জয়েশ রানে), কার্ল ম্যাকহিউ, হাভিয়ে হার্নান্ডেজ (মার্সেলো পেরেইরা), মনবীর সিং, রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস।

মুম্বই সিটি এফসি দল: অমরিন্দর সিং, অমেয় রানাওয়াডে (মহম্মদ রাকিপ), মুর্তাদা ফল, হার্নান সান্তানা, ডি ভিগ্নেশ, আমেদ জাহু, রাওলিন বোর্জেস, রেইনিয়ে ফার্নান্ডেজ, হুগো বুমৌস (সি গদার্ড), বিপিন সিং, অ্যাডাম লে ফন্দ্রে (বার্থোলোমিউ ওগবেচে)।

পরিসংখ্যানের যুদ্ধ

বল পজেশন: মুম্বই সিটি এফসি ৫৯% - এটিকে মোহনবাগান ৪১% -

সফল পাস: ৩৫১/৪৭৬ (৭৪%) - ১৭৬/২৯১ (৬০%)

গোলে শট: ৫-৪

ফাউল: ১২-১৩

ইন্টারসেপশন: ১০-১৫

কর্নার: ১-৬

হলুদ কার্ড: ৩-৩

ম্যাচের হিরো: বিপিন সিং