বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে এটিকে-কে ৩-২ গোলে হারাল চেন্নাইয়িন এফসি।দ্বিতীয়ার্ধে গোল করেন জেজে লালপেখলুয়া।

দুই দলই শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে, অতিথি দল প্রথম পাঁচ মিনিটেই আক্রমণ করে, জেকুইনহা চেন্নাই বক্সে ঢুকে পরেন ও বিপিন সিংকে আসাধারন পাস দেন, বিপিনও গোলে শট মারেন এবং চেন্নাই গোলরক্ষকের পরীক্ষা নেন।  

এরপর থেকে পরের প্রায় ৩০ মিনিট খেলার রাশ ধরে এটিকে, সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে না পারলে বা গোলে লক্ষ্যভেদ করতে না পারলেও বল পজিশনে এগিয়ে ছিল এটিকে।  

এরপর জেকুইনহা অবশ্য আরও একটি সুযোগ তৈরি করেন। ভাগ্য সাথে থাকলে হয়তো পর্তুগিজ স্ট্রাইকার এগিয়ে থাক্ত।কিন্তু বিপক্ষের গোলের কাছেও পৌঁছালেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি জেকুইনহা।চেন্নাইয়িন এফসির গোলরক্ষক খুব সহজেই জেকুইনহার শট বাঁচিয়ে দেন।     

এরপর ঘুরে দাঁড়ায় চেন্নাই। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে বিক্রমজিৎ সিং বিপক্ষের গোলের কাছে পৌঁছালেও, গোল করতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্য ভাবে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে অবশ্য ভাল খেলে ২০১৫ সালের আইএসএল বিজয়ী দল। ৪৭ মিনিটে সুযোগ তৈরি করেন জেরি। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হন। ৬৫ মিনিটে গোলের মুখ খোলেন চেন্নাইয়ের জেজে। এটিকের প্রাক্তনী জাইমে গাভিলানের অসাধারন কর্নার হেনরিকে হেড দেন পোস্টে লেগে বল বেরিয়ে আসার সময় ফাঁকা গোলে গোল করেন জেজে লালপেখলুয়া। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় চেন্নাই। ১২ মিনিট পরেই ডিফেন্ডং চ্যাম্পিয়নদের হয়ে সমতা ফেরান জেকুইনহা।      

৬ মিনিট পরেই আবার এগিয়ে যায় চেন্নাই। এবার দলের হয়ে গোল করেন ক্যালডেরন।

কয়েক মিনিট পরেই ফের গোল করে সমতা ফেরায় এটিকে। এবার কুকি-কে বল বাড়ান রুবি কিন। বল পেয়ে প্রথমে গোলে শট মারেন কুকি, কিন্তু প্রথমবারে সেভ করেন চেন্নাইয়ের গোলরক্ষক, কিন্তু দ্বিতীয় চান্স পায় কুকি, যেই সুযোগকে কাজে লাগায় কুকি,নিজের দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন তিনি।

ম্যাচের শেষ মুহূর্তে এটিকের কফিনে শেষ পেরেকটা পোঁতেন জেজে। এরই সঙ্গে ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট পেয়ে যায় চেন্নাই। এবং লিগ তালিকার শীর্ষে পৌঁছে যায় চেন্নাইয়িন এফসি। চলতি মরসুমে জয় অধরা থাকল এটিকের। এদিনের ম্যাচের সেরা নিযুক্ত হন জেজে।