এফসি গোয়ার দুর্বল ডিফেন্সকে সামনে পেয়ে তিন গোল দিলেও শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট তুলতে পারল না তাঁর দল। মঙ্গলবার দু’বারের ফাইনালিস্ট এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে পরপর তিনবার সমতা আনার পরেও তাদের ৪-৩-এ জয়ের পরে এসসি ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ হোসে মানুয়েল দিয়াজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে। ডাচ মিডফিল্ডার ড্যারেন সিডোলের যে চোট, তা জানিয়ে আর কী বললেন তিনি? জেনে নিন।

ম্যাচটা জিততে পারতেন আপনারা। কিন্তু পারলেন না কেন?

আমরা অনেকগুলো ভুল করেছি। সেই ভুলগুলো কাজে লাগিয়েই এফসি গোয়া পরপর গোল করে গেল।

অমরজিৎকে আজ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলালেন। গত ম্যাচেও ও নিজের জায়গায় খেলতে পারেনি। ওকে ওর জায়গায় না খেলানোর কারণ কী?

অমরজিৎ খুবই ভাল খেলোয়াড়। মিডফিল্ডার হলেও ও বিপক্ষের বক্সের কাছে গিয়ে খেলতে পারে।

সিডোল ও চিমাকে আজ শুরু থেকে খেলালেন না কেন?

সিডোলের চোট আছে। আর যেহেতু চারজনের বেশি বিদেশি খেলানো যায় না, তাই ওকে রেখে দিয়েছিলাম দ্বিতীয়ার্ধে নামাব বলে।

আজ গোলকিপার ও ডিফেন্ডারদের মধ্যে বোঝাপড়া ও যোগাযোগের অভাব দেখা গেল কেন?

আমাদের আরও অনুশীলন করতে হবে এবং নিজেদের আরও উন্নত করে তুলতে হবে। এত ভুল করলে চলবে না।

আপনার দলের ভারতীয়দের মধ্যে একমাত্র সেম্বয় হাওকিপ গোল করেছেন। কিন্তু ওডিশা ম্যাচের পরে সে ভাবে ওকে খেলাচ্ছেন না কেন?

পেরোসেভিচ ও চিমাকে বেশিক্ষণ খেলাতে হচ্ছে। সে জন্যই ওকে বেশি খেলানো যাচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে ওকে নিশ্চয়ই খেলতে দেখা যাবে।

দলের উন্নতিতে আমি খুশি

অন্য দিকে, এফসি গোয়ার কোচ হুয়ান ফেরান্দো তিন ম্যাচে হারার পরে অবশেষে জয়ের মুখ দেখতে পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এ দিনের ম্যাচে তাঁর কাছে কৌশলের চেয়ে দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস ও মানসিকতাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

এই জয়ের পরে আপনার দলের ছেলেরা কতটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন?

খেলোয়াড়, সমর্থক ও কোচিং স্টাফের জন্য খুশি। ওরা খুব পরিশ্রম করেছে। তিনটে ম্যাচে হারার পরে পরিস্থিতি খুবই কঠিন হয়ে যায়। তবে আমরা যে গত তিনটে ম্যাচের চেয়ে নিজেদের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে পেরেছি, সে জন্য খুশি।

আপনি বলছেন, আপনি খুশি। কিন্তু আপনার দলের চারটি গোলের কোনওটির পরেই আপনার মধ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না কেন?

কারণ, আমি তখন খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেতে চাইছিলাম। ভাবছিলাম, কোনও মুহূর্তে আবার না চাপে পড়ে যায় আমাদের ছেলেরা। কারণ, বেশ কিছু পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে মোটেই ভাল ছিল না। আমরা ১-০-য় এগিয়ে যাওয়ার পরে ফের ২-১ করি যখন, তখন দলের ছেলেরা খুবই চাপে ছিল। এই চাপটা যাতে না বেড়ে যায়, সে জন্যই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করিনি। শান্ত হয়ে সব দেখে যাচ্ছিলাম।

আজ কৌশলেও বদল করেছিলেন কিছু। এই ব্যাপারে কিছু বলবেন?

হ্যাঁ, কৌশলে কিছু পরিবর্তন করতেই হয়েছিল। কিন্তু আজকের ম্যাচটায় ৯০ শতাংশ ছিল মনস্তাত্বিক। ছেলেরা মানসিক ভাবে কতটা চাঙ্গা রাখতে পারছে, নিজেদের কৌশলের ওপর কতটা আস্থা রাখতে পারছে, একে অপরের ওপর কতটা ভরসা রাখতে পারছে, এগুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল। কৌশল ছিল তার পরের বিষয়।