নভেম্বরে হিরো আইএসএলে কিছু বিস্ফোরক পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্রেকের আগে তো বটেই, পরেও। ২০১৯-এর শেষ মাসে পড়ার শুরুতেই দেখে নেওয়া যাক গত মাসের সেরা পারফরমার কারা কারা ছিলেন। এঁদেরই নভেম্বরের হিরো অফ দ্য মান্থের জন্য মনোনীত করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে ফুটবলপ্রেমীরা ও আমাদের বিশেষজ্ঞদের প্যানেল এই কয়েকজনের মধ্যে থেকেই ভোটের মাধ্যমে বেছে নেবেন সেরাদের সেরাকে। 

কী ভাবে ভোট দেবেন?

  • প্রথমে যান indiansuperleague.com-এ
  • ফ্যান জোন-এ ক্লিক করুন এবং Hero of the Month সিলেক্ট করুন
  • আপনার Hero of the Month বেছে নিন
  • নিজের ভোট রেজিস্টার করুন

ভোট গোনা হবে কী ভাবে?

ভক্তদের দেওয়া ভোটের ৫০ শতাংশ ও বিশেষজ্ঞদের ভোটের ৫০ শতাংশ নেওয়া হবে I

যেমন, কোনও এক মনোনীত ফুটবলার যদি ভক্তদের কাছ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পান, তা হলে তা ৪০ শতাংশ ধরা হবে I আর তিনি যদি ৬০ শতাংশ ভোট পান বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে, তা হলে তা ৩০ শতাংশ ধরা হবে I সব মিলিয়ে সেই ফুটবলারের প্রাপ্ত ভোট ধরা হবে ৪০+৩০= ৭০ শতাংশ I

ভক্ত ও বিশেষজ্ঞদের ভোট মিলিয়ে যে ফুটবলার সবচেয়ে বেশি শতাংশ ভোট পাবেন, তাঁকেই Hero of the Month বেছে নেওয়া হবে I

কোনও দু’জন ফুটবলারের প্রাপ্ত ভোট যদি একই হয়, তা হলে বিশেষজ্ঞরা যাঁকে বেশি ভোট দিয়েছেন, তাঁকেই সেরা বাছা হবে I

এবার দেখা যাক নভেম্বরের মনোনীতরা কারা।

সের্জিও ক্যাস্টেল   

স্পেন থেকে আসা জামশেদপুর এফসির এই ফরোয়ার্ড দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। বেঙ্গালুরু এফসি-র সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পরে ক্যাস্টেল এটিকে-র বিরুদ্ধে তাদের ১-৩ হারা ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন। গোয়ার বিরুদ্ধে তাঁর গোলেই জেতে জামশেদপুর। চার গোল করে ক্যাস্টেল আপাতত আরিদেন সান্তানা, রয় কৃষ্ণার সঙ্গে গোল স্কোরারদের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন। অন্য দুজনের থেকে অবশ্য একটা ম্যাচ কম খেলেছেন ক্যাস্টেল। অক্টোবরের মনোনীতদের তালিকাতেও তিনি ছিলেন। গত মাসেও তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় থাকায় ফের তিনি এই তালিকায়। টানা দুবার।

আরিদেন সান্তানা

জোসেপ গোম্বাউয়ের ওডিশা এফসি দলে তিনি এখন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। চেন্নাইনের বিরুদ্ধে ৮২ মিনিটের গোলে দলকে এক পয়েন্ট এনে দিয়েছিলেন আরিদেন সান্তানা। এটিকে-র বিরুদ্ধে তাঁকে যখন কোচ কিছুটা উইথড্রয়াল ভূমিকায় খেলতে বলেন, তখনও সফল হয়ে দেখিয়ে দেন কতটা বৈচিত্র তিনি আনতে পারেন নিজের খেলায়।

মুর্তাদা ফল

এফসি গোয়ার ডিফেন্সে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন এই মুর্তাদা ফল। মাসের শুরুতে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মনবীর সিং ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে যে সমতা এনেছিলেন, সেই গোলে সহায়তা করেন সেনেগালের এই দীর্ঘকায় ডিফেন্ডার। মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে হুগো বুমুসকে গোল করতেও সাহায্য করেন তিনি। এই মরশুমে প্রতিটি ম্যাচে পুরো সময় খেলেছেন মুর্তাদা। তাঁর পাসিং অ্যাকিওরেসি ৮৮.০১ ও গড়ে প্রতি ম্যাচে ৫৩টি করে পাস দিয়েছেন।

গুরপ্রীত সিং সান্ধু

গত মাসে বেঙ্গালুরু এফসি-কে তিনটি ম্যাচে গোল হজম করতে দেননি ভারতীয় দলের এই গোলকিপার। জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল সেরা। তিনটি অবধারিত গোল সেভ করেন তিনি, যার মধ্যে ফারুখ চৌধরির একটি অনবদ্য চেষ্টাও বিফলে চলে যায়। এ পর্যন্ত বেঙ্গালুরু  এফসি-র রক্ষণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান সবচেয়ে ভাল মূলত গুরপ্রীতের অসাধারণ কিপিংয়ের জন্য। ছটি ম্যাচে মাত্র দুটি গোল খেয়েছে তারা। গত বছরের সোনার গ্লাভসজয়ী এ বারও এগিয়ে রয়েছেন সেই খেতাবের দৌড়ে।

রয় কৃষ্ণা

অক্টোবরে তাঁর বন্ধু ও সতীর্থ ডেভিড উইলিয়ামস অক্টোবরের হিরোর খেতাব পাওয়ার পরে নভেম্বরের শিরোপাটি পাওয়ার জন্য বোধহয় মরিয়া হয়ে উঠেছেন রয় কৃষ্ণা। অক্টোবর যদি হয় উইলিয়ামসের, তা হলে নভেম্বর অবশ্যই কৃষ্ণার। শনিবার যিনি শেষ মুহূর্তে গোল করে এটিকে-কে হারের মুখ থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে এসে এক পয়েন্ট এনে দেন। জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে দুটি পেনাল্টি আদায় করে, তা থেকে গোলও করেন তিনি। সেই ম্যাচেই তৃতীয় গোলটার জন্য এডু গার্সিয়াকে সাহায্য করেন। ফিজির প্রাক্তন অধিনায়ক ও অলিম্পিয়ানকে এই লিগে আনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার লিগে তাঁর সাফল্যের খতিয়ান দেখে। এখানে যে তার অন্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কম, এই নভেম্বরে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন তিনি।

ভোট দিন এখানে