হিরো আইএসএল: নতুন নিয়মে প্রথম দলে সাত ভারতীয়, চার বিদেশি, স্কোয়াডে চার উঠতি
ভারতীয় ফুটবলারদের জন্য সুখবর নিয়ে এল হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। আগামী হিরো আইএসএল থেকে প্রতি দলের প্রথম একাদশে ভারতীয় ফুটবলারের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট লিমিটিড (এফএসডিএল)-এর কোচ ও খেলোয়াড় বাছাই সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকায় তেমনই বলা হয়েছে। আগামী মরশুম থেকে প্রতিটি দলকে ম্যাচ চলাকালীন মাঠে সব সময় অন্তত সাতজন ভারতীয় ফুটবলার রাখতেই হবে।
ভারতীয় ফুটবলারদের জন্য সুখবর নিয়ে এল হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। আগামী হিরো আইএসএল থেকে প্রতি দলের প্রথম একাদশে ভারতীয় ফুটবলারের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট লিমিটিড (এফএসডিএল)-এর কোচ ও খেলোয়াড় বাছাই সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকায় তেমনই বলা হয়েছে। আগামী মরশুম থেকে প্রতিটি দলকে ম্যাচ চলাকালীন মাঠে সব সময় অন্তত সাতজন ভারতীয় ফুটবলার রাখতেই হবে।
প্রথম একাদশে ভারতীয়ের সংখ্যা বাড়া মানে বিদেশিদের সংখ্যা কমে যাওয়া। সাতজন ভারতীয় খেলার অর্থ এ বার থেকে প্রথম এগারোয় চারজনের বেশি বিদেশি ফুটবলার থাকতে পারবে না।
হিরো আইএসএলের শুরু থেকেই ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য নানা রকমের নতুন ভাবনাচিন্তা ও নীতি নির্ধারণ করা হয়ে আসছে। নতুন এই নিয়মও এ দেশের ফুটবলের ধারাবাহিক উন্নতির কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে।
২০১৪-য় প্রথম হিরো আইএসএলে ছ’জন বিদেশি ও পাঁচজন ভারতীয় ফুটবলার রাখার নিয়ম ছিল। ক্রমশ ধাপে ধাপে ভারতীয় ফুটবলারের সংখ্যা বাড়ানো হয়। ২০১৭-১৮-য় নিয়ম করা হয়, অন্তত ছ’জন ভারতীয়কে প্রথম এাগারোয় রাখতেই হবে। এ বার ২০২১-২২ মরশুম থেকে সেই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে করা হল সাত।
চার বিদেশির নিয়মটি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) ক্লাব প্রতিযোগিতার নিয়মেই রয়েছে। এই নতুন নিয়মে এ বার থেকে ক্লাবগুলি ছ’জন বিদেশি ফুটবলারকে সই করাতে পারবে। যার মধ্যে অন্তত একজনকে আনতে হবে এএফসি-র অনুমোদিত সদস্য দেশ থেকে। এ বার থেকে একজন করে মার্কি প্লেয়ারকেও দলে রাখতে পারবে প্রতিটি ক্লাব। লিগ-অনুমোদিত নিয়ম অনুযায়ীই এই মার্কি প্লেয়ার নির্বাচন করতে হবে।
এ ছাড়াও হিরো আইএসএলে আগামী মরশুম থেকে আরও একটি নিয়ম আনতে চলেছে এফএসডিএল। এ বার থেকে প্রতি ক্লাবকে বাড়তি সংখ্যক উঠতি খেলোয়াড় নিতে হবে। আগে এই সংখ্যাটা ছিল দুই। এ বার সেটা বাড়িয়ে করা হচ্ছে চার। আগের নিয়মেই ম্যাচের দিন স্কোয়াডে এমন অন্তত দু’জন ফুটবলার রাখা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
গত মরশুমে আকাশ মিশ্র, আপুইয়া (লালেঙমাউইয়া), জিকসন সিং, রাহুল কেপি, আশিস রাইয়ের মতো উঠতি খেলোয়াড়রা নজর কাড়া ফুটবল খেলেছেন। ভারতে যে ভাল ফুটবলার তৈরি হচ্ছে, তার ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছে তাঁদের পারফরম্যান্সে।
প্রতিটি ক্লাবের স্কোয়াডে ৩৫ জন ফুটবলার থাকবে। এর মধ্যে তিনজন নথিভুক্ত গোলকিপার থাকবে। প্রতি ক্লাব একজন ভারতীয় ফুটবলারের ইনজুরি রিপ্লেসমেন্ট করতে পারবে (নথিভুক্ত ৩৫ জনের বাইরে)। ২০২১-২২ মরশুমের জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক একই থাকছে, ১৬.৫ কোটি টাকা।