প্রত্যাশা মতোই এ বারের হিরো আইএসএল হতে চলেছে ফুটবলের রাজ্য গোয়ায়। সেখানকার তিনটি স্টেডিয়ামে হবে হিরো আইএসএল ৭-এর ম্যাচগুলি।  ফতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম, বামবোলিমের জিএমসি অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম ও ভাস্কোর তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে নভেম্বর থেকে শুরু হবে দেশের সেরা ফুটবল লিগ।

সরকারি ভাবে এই ঘোষণা করে ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের (এফএসডিএল) চেয়ারপারসন নীতা শ্রীমতি অম্বানি বলেন, “আইএসএল ৭-কে গোয়ায় নিয়ে যেতে পেরে আমি খুবই খুশি। গত বছর যেখানে হিরো আইএসএল শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই এ বছর ফের খেলা শুরু হতে চলেছে। সৌন্দর্যে ভরা গোয়াকে অবিনন্দন। ওখানকার ফুটবলপ্রেমীদেরও অভিনন্দন জানাই। আপনাদের রাজ্য ফের ভারতীয় ফুটবলের সেরা আসরের ভরকেন্দ্র হতে চলেছে!”

শ্রীমতি অম্বানি আরও বলেন, “গত ছ’বছর ধরে আইএসএল ভারতীয় ফুটবলকে আন্তর্জাতিক ফুটবলের লক্ষ্যে সঠিক দিশা দেখাতে সাহায্য করেছে। এই অল্প সময়ে আমরা একাধিক মাইলফলক পেরিয়ে এসেছি। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড লিগ ফোরামের সদস্যপদ পেয়েছে আইএসএল। সিটি ফুটবল গ্রুপ মুম্বই সিটি এফসি-তে বিনিয়োগ করেছে। এটিকে ও মোহনবাগান পরষ্পরের হাত মিলিয়েছে। ৩.৮ কোটি ফ্যান ইন্টার্যাকশন-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বের জনপ্রিয়তম ফুটবল লিগগুলির তালিকায় চার নম্বরে উঠে এসেছে ভারতের এক নম্বর লিগ”।

হিরো আইএসএলের সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শ্রীমতি অম্বানি বলেন, “খেলা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করে, সবাইকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে। এমন অভূতপূর্ব কঠিন সময়ে সবাই মিলে এগিয়ে আসার জন্য আইএসএলের সমস্ত ক্লাব, খেলোয়াড় ও কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। এই অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রবল ইচ্ছাশক্তি, আশা ও সাহস আমাদের কতটা, ফুটবলের মাধ্যমে সেটাই প্রমাণ করতে চাই”।

ফুটবল অথরিটি অফ গোয়া, গোয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও রাজ্যের প্রশাসনের সহযোগিতায় এই মরশুমকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর রাখার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর এফএসডিএল। সম্প্রতি এই সংস্থার কর্তারা গোয়ার যাবতীয় পরিকাঠামো পরিদর্শন করেন। সেই অনুযায়ীই কী ভাবে লিগের খেলাগুলি আয়োজন করা হবে, তার বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। তিন স্টেডিয়ামেরই মাঠের ড্রেনেজ থেকে শুরু করে ফ্লাডলাইট, কম্পিটিশন এরিয়া, ড্রেসিংরুমের প্রয়োজনীয় সংস্কারও করে নেওয়া হবে লিগ শুরুর আগে।

এফএসডিএল-এর আশা, প্রতিটি ক্লাবকে যাতে অনুশীলনের জন্য আলাদা মাঠ দেওয়া যায়। গোয়ায় এমন দশটি মাঠকে চিহ্নিতও করা হয়েছে। আগামী এক মাসে এই মাঠগুলিরও প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে ও তার পরে সেগুলি সংশ্লিষ্ট ক্লাবের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তিনটি প্রধান মাঠ ও ট্রেনিং গ্রাউন্ডগুলির পরিকাঠামোগত সংস্কারের ফলে ফুটবলের রাজ্য গোয়া অনেক উপকৃতও হবে বলে বিশ্বাস এফএসডিএল কর্তাদের। এর ফলে ভবিষ্যতে গোয়া দেশের অন্যান্য সেরা ফুটবলের আসরগুলিরও আয়োজন করতে পারবে এবং এই রাজ্যের প্রধান খেলা হিসেবে ফুটবলকে প্রচারের আলোয় নিয়েও আসতেও সুবিধা হবে তাদের।

আসন্ন হিরো আইএসএল মরশুম স্মরণীয় হয়ে থাকবে কলকাতার দুই ফুটবল শক্তি এটিকে ও মোহনবাগানের হাতে হাত মিলিয়ে যোগদানের জন্য। এ ছাড়াও বিশ্বখ্যাত সিটি ফুটবল গ্রুপ দ্বারা নতুন করে সাজানো মুম্বই সিটি এফসি-ও চমক দিতে পারে এ বার।