কি কি ভুল শুধরে পরের ম্যাচগুলোতে নামতে হবে এ টি কে সিবিরকে?
১৭ই অক্টোবর দিল্লির মাঠে আবার নামতে চলেছে এ টি কে, প্রতিপক্ষ টিম দিল্লি ডাইনামোস এফ সি।
১৭ই অক্টোবর দিল্লির মাঠে আবার নামতে চলেছে এ টি কে, প্রতিপক্ষ টিম দিল্লি ডাইনামোস এফ সি। কলকাতার দলটির এই মরসুমের শুরুটা আশাস্বরূপ হয়নি, প্রথম দুই ম্যাচই তারা ঘরের মাঠে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং পয়েন্টের খাতা এখনও শূন্য। এই ছন্নছাড়া পরিবেশ থেকে এ টি কে কে বেরিয়ে আসার জন্য দলগঠনে অমুল পরিবর্তন করতে হবে। কি সেই বিষয়গুলো একবার দেখে নেওয়া যাকঃ
১. বলবন্ত সিংহ কে শুরু থেকে স্ট্রাইকার খেলানোঃ বলবন্ত সিংহ এমন একজন ফরওয়ার্ড যে তার জীবনের পুরো সময়টাই সেন্টার-ফরওয়ার্ড হিসেবে খেলছেন এবং প্রচুর গোলও করেছেন ক্লাব ও দেশের জার্সি গায়ে। সেখানে বলবন্তকে হঠাত করে বা-প্রান্তে নিয়ে আসাটা মস্ত বড় ভুল ছিল কপলের। আর এ টি কে টিম ম্যানেজমেন্টে যখন সঞ্জয় সেন এর মত কোচ আছে তার এই দিকটা কপেল কে ধরানো উচিত ছিল কেন না এই সঞ্জয় সেনের অধীনেই বলবন্ত মোহন বাগানে খেলে ও প্রচুর গোল করে সুনাম অর্জন করেছে। তাই গোল পেতে হলে কলকাতা কে সুরু থেকেই বলবন্ত কে এভারটন বা লানযারত্তের সঙ্গে জুরে দিতে হবে।
২. ‘গেমমেকার’ লো্বোকে অনেক দেরি করে নামানোঃ কেভিন লোবো এমন একজন মিডফিল্ডার যে কিনা আই-লিগ ক্লাব ইস্টবেঙ্গলে ৭ বছর সুনামের সাথে খেলেছে এবং তাকে ভারতের সেরা প্লেমেকার বা গেমমেকার বলা হয়। তার ক্ষমতা মাঝমাঠে অতুলনিয়। যে কোন সময় সে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারার ক্ষমতা রাখে। মাঝে বেশ কিছুটা সময় চোটের জন্য খেলার বাইরে থাকলেও গত মরসুমে স্বামহিমায় ফিরে আসে। লোবো পুর ৯০ মিনিট সব ম্যাচে খেলতে না পারলেও ম্যাচের রঙ সে এখনও পালতে দিতে পারে। তাই লোবো কে কিভাবে কপেল ও সঞ্জয় সেন ব্যাবহার করবেন সেটা তাদের ওপর কিন্তু লোবো কে এক ঘন্টা মত মাঠে রাখতেই হবে এ টি কে কে।
৩. গোলে অরিন্দম এর জায়গায় দেবজিতঃ দেবজিত মজুমদার এই নামটা ভারতীয় গোলরক্ষকদের তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে, গুরপ্রীত সিংহ এর পরেই দু-নম্বরে। সেই দেবজিত শেষ কয়েক মরসুম এ টি কে এবং মোহন বাগানে সুনামের সাথে চুটিয়ে খেলছেন। তা সত্ত্যেও দেবজিত এর অপরে অরিন্দমকে খেলানো হল যেটা দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন বটে। অরিন্দমের সেরকম বলার মত কোন পারফর্মেন্স নেই শেষ কয়েক মরসুম ভারতীয় ফুটবলে। তাই এই জায়গায় দেবজিতকে শুরু থেকেই খেলানো উচিৎ এ টি কে মানাজমেন্টের।
৪. জন জনসন ও গারসন ভিয়েরার মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ানোঃ কেরালা ম্যাচে এ টি কে ডিফেন্সকে বার বার আক্রমনের সময় সমান্তরালে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এবং সেই ভুল থেকেই গোল দুটি হজম করে তারা। দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি না হওয়া তেই এতা বেসিরভাগ সময় হয়ে থাকে। আগামি ম্যাচগুলোর আগে এই দিকটা তাদের মেরামত করে নামতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আন্দ্রে বিকের দলে অন্তর্ভুক্তি দরকার। বিকে এমন একজন খেলোয়াড় যে রক্ষণকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং দরকারে ব্লকারের কাজটাও করে দিতে পারবেন।
৫. আল্ট্রা-ডিফেন্সিভ হয়ে বল দখল হারানোঃ স্টিভ কপেল কে আমরা ডিফেন্সিভ কোচ হিসেবে জানি। কিন্তু এ টি কের এবার যা স্কোয়াড আছে তাতে কপেলকে অ্যাটাকিং ফুটবলের ওপর জোর দিতে হবে। ৪-২-৩-১ এ না খেলে কপেল কে একজন ব্লকার রাখতে হবে, সেটা মামউনি বা প্রণয় হোক। সামনে লোক বারিয়ে গোলের জন্য ডাবল স্ট্রাইকারে খেলআ উচিত, সেটা বলবন্তের সাথে কালু উচে বা লানযারত্তে বা এভারটন স্যান্টস যেই হোক।