ভারতীয় ফুটবলের জন্য হাত মেলাল দয়েশ ফুটবল লিগা বা ডিএফএল এবং ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট লিমিটেড বা এফএসডিএল। প্রসঙ্গত, ডিএফএল জার্মানির বুন্দেশলিগা ও বুন্দেশলিগা ২-এর আয়োজক সংস্থা এবং ভারতের এক নম্বর ফুটবল লিগ আয়োজন করে এফএসডিএল। 

দুই পক্ষের মধ্যে সম্প্রতি একটি মউ সাক্ষরিত হয়েছে, যার জেরে দুই দেশের মধ্যে ফুটবল সংস্কৃতির আদান প্রদান হবে। দুই দেশের ফুটবলার, কোচেদের মধ্যে যেমন বিনিময় সফর হবে তেমনই ফুটবল সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও উন্নয়নমূলক ধারনারও আদান প্রদান হবে। যার ফলে মূলত উপকৃত হবে ভারতীয় ফুটবলই। ফুটবলের উন্নতিতে আধুনিক প্রযুক্তিকে কী ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে, তাও জানা যাবে এবং ব্যবহারের সুযোগও পাওয়া যাবে এই নতুন সম্পর্ক তৈরি হওয়ায়।

তথ্য বিনিময়ের জন্য প্রথম কর্মশালাটি সম্প্রতি হয়েছে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে। ফুটবলকে কী ভাবে আরও দ্রুত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় এবং ফুটবলপ্রেমীদের কী ভাবে ফুটবলের মূলস্রোতের সঙ্গে আরও জড়িয়ে ফেলা যায়, দুই সংস্থার এই সম্পর্ক স্থাপনের ফলে সেই ধারনাগুলি নিয়েও গঠনমূলক আলোচনা হবে এবং ফুটবলকে জনপ্রিয় করে তোলার আরও নতুন জনপ্রিয় উপায় উদ্ভাবন করা হবে।

সে দেশে এবং গোটা ইউরোপে যে ভাবে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বজায় রাখা ও বাড়ানো হয় এবং তা যাতে ভারতেও কাজে লাগানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা চলছে দুই সংস্থার মধ্যে। ই-আইএসএলের বাণিজ্যিক মডেল নিয়েও ডিএফএলের কাছ থেকে আরও সাহায্য পাওয়া যাবে।

এই মউয়ের জন্য দুই সংস্থাই খুশি এবং আশাবাদী। ডিএফএলের সিইও ডোনাটা হপফেন বলেন, “ভারতে ফুটবলের বড় একটা বাজার রয়েছে। এটা ভাল যে খুব দ্রুত গতিতে সেই বাজারের পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা দেশের মানুষকে যে ভাবে গত কয়েক বছরে এই খেলার প্রতি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং ফুটবলকে দেশের দ্বিতীয় জনপ্রিয়তম খেলা করে তোলা হয়েছে, তার প্রশংসা করতেই হবে। বুন্দেশলিগাকে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় করে তোলার যে প্রচেষ্টা চলছে, তার মধ্যে ভারতের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের লিগকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেওয়ার চেষ্টায় দুই দেশ হাত মেলানোয় এই কাজ অনেক সহজ হয়ে উঠবে বলেই মনে হয়”।

এফএসডিএল-এর মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, “ভারতের ক্লাব ও তাদের ফুটবলার, কোচ, কর্তারা যাতে আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক দিকগুলো সম্পর্কে জানতে পারেন এবং দেশের ফুটবলের যাতে উন্নতি হয়, সে জন্যই আমরা বিভিন্ন দেশের সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করি। ডিএফএল-এর সঙ্গে এফএসডিএলের সম্পর্ক গত কয়েক বছর ধরেই রয়েছে। কী ভাবে ফুটবলপ্রেমীদের আরও ভাল অভিজ্ঞতা দেওয়া যায় সেই নিয়েও একসঙ্গে কাজ করছি আমরা। আশা করি, এতে দেশের ফুটবলের সার্বিক উন্নতি হবে”।

জার্মান ফুটবলের সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলের সম্পর্ক অবশ্য গত কয়েক বছর ধরেই রয়েছে। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও আরবি লিপজিগ একাধিক আইএসএল ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। জার্মান ফুটবল সংস্থা ডিএফবি-র সঙ্গেও সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার মউ সাক্ষরিত হয়েছে।