হায়দরাবাদ এফসি-র কাছে চার গোলে হারার পরেও দলের ছেলেদের প্রশংসা শোনা গেল এসসি ইস্টবেঙ্গলের নতুন স্প্যানিশ হেড কোচ মারিও রিভেরার মুখে। এই হারের পরেও ডার্বিতে একই পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নিয়ে নামবে তাঁর দল, জানিয়ে দিলেন রিভেরা।

ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আর কী বললেন তিনি? জেনে নেওয়া যাক।   

এই হারে কতটা হতাশ আপনি? আজ কোথায় কোথায় পিছিয়ে গেল আপনার দল?

হারলে তো হতাশ হবই। তবে ছেলেদের পারফরম্যান্স ও ওদের খেলার তীব্রতার জন্য অবশ্যই গর্বিত হওয়া উচিত। ওর নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। আমরা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত গোল করার চেষ্টা করেছি। ভাল ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছি আমরা। কিন্তু কয়েকটা ভুলেরই মাশুল দিতে হলে আমাদের।

ফ্রানিও (পর্চে) পেনাল্টি নিতে গেলেন কেন?

ওই সময়ে আন্তোনিও বা সেম্বয় কেউই মাঠে ছিল না। ওরা থাকলে হয়তো ওরাই পেনাল্টি মারত। ফ্রানিও শটটা মারতে রাজি ছিল। তবে ওদের গোলকিপার দারুন সেভ করেছে।

আপনার কি মনে হয় ওগবেচে এই লিগের সেরা খেলোয়াড়?

আমার মনে হয় বক্সে ও বল পায়ে ঠেকালেই গোল হয়। অবশ্যই ও টপ স্কোরার ও লিগের সেরা খেলোয়াড়। ওর দীর্ঘ ফুটবল জীবনে যেখানে যেখানে খেলেছে, সেখানেই ও গোল পেয়েছে। খুবই ভাল খেলোয়াড় ও।

আগামী শনিবারই কলকাতা ডার্বি। এই ফলের পরে কী পরিকল্পনা করবেন ডার্বি নিয়ে?

পরিকল্পনা একই থাকবে। জেতার চেষ্টা করব। পিছিয়ে থাকলে যেমন গোলের জন্য ঝাঁপাব, তেমন এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করব। ডার্বি ম্যাচে আরও তীব্রতা থাকবে নিশ্চয়ই। আমাদের ছেলেরা জেতার জন্যই মাঠে নামবে। সমর্থকদের কথা ভেবে মাঠে নামতে হবে আমাদের।    

গোল খেলে গোল করতেও হবে

অন্য দিকে, হায়দরাবাদ এফসি-র কোচ মানোলো মার্কেজ তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে সোমবার জানান, তাঁর দল নিখুঁত ফুটবল খেলে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছে। ওগবেচের মতো স্কোরারকে দলে পেয়ে যে তাঁরা খুশি, তাও জানাতে ভুললেন না। তাঁর সাংবাদিক বৈঠকের নির্বাচিত অংশ।

এসসি ইস্টবেঙ্গল কি আপনাদের জয়টা সহজ করে দিল?

না, আমরা নিখুঁত ফুটবল খেলেছি। স্কোরের দিকে তাকালে হয়তো মনে হবে সহজ জয়। আমরা এক গোলে এগিয়ে থাকার সময় ওরা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল। এ বছর বেশি ফুটবল না খেললেও আমরা কিন্তু অনেক আক্রমণাত্মক ও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছি। প্রথমার্ধে আমরা ওদের তেমন কোনও সুযোগ দিইনি।

আপনাদের রক্ষণকে আজ সে রকম পরীক্ষার মুখে পড়তেই হয়নি।

কোনও গোল না খেলে তো রক্ষণ সম্পর্কে খুশি হবই। ওরা একটা পেনাল্টি মিস করেছে। কাট্টিমণিও খুব ভাল গোল বাঁচিয়েছে। আমরা গোল খেলে, গোল দিতেও হবে। এটাই নীতি হওয়া উচিত। গোল না খাওয়া মানে আমরা ম্যাচ হারছি না। আর বেশি গোল করাটা তো ভাল লক্ষণ। চার গোলে জিতে আমি খুশি।

ওগবেচে কি লিগে তাঁর সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন?

ও লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার। প্রচুর অভিজ্ঞতা ওর। এটা আইএসএলের চতুর্থ মরশুম খেলছে ও এবং প্রতি মরশুমেই প্রচুর গোল করে। ওকে দলে পেয়ে আমরা খুশি।