Image credit: FCGoaOfficial@Twitter

সম্প্রতি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ ই-র খেলাগুলির আয়োজন দেখে খুশি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সচিব দাতো উইন্ডসর জন।

গত ১৪ থেকে ৩০ এপ্রিল এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্লাব-লিগের গ্রুপ ই (পশ্চিমাঞ্চল) পর্বের ম্যাচগুলি হয় ফতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে। এফসি গোয়া এই প্রথম ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে সরাসরি গ্রুপ পর্বে অংশ নেয়। তারা ছাড়াও ইরানের পার্সেপোলিস, কাতারের আল রাইয়ান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আল ওয়াহদা ছিল গ্রুপের বাকি তিনটি দল। আল রাইয়ানকে পিছনে ফেলে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই চার দলের মধ্যে তিন নম্বরে থেকে লিগ শেষ করে ভারতীয় ক্লাব। গ্রুপসেরা হয় পার্সেপোলিস।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে অংশগ্রহনকারী সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যক্তিদের জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে রেখে এত সুষ্ঠুভাবে গ্রুপ লিগের খেলাগুলি যে আয়োজন করতে পেরেছে ভারত, তার প্রশংসা করেছেন এএফসি সচিব। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে পাঠানো এক চিঠিতে জন লিখেছেন, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ ই (পশ্চিমাঞ্চল) পর্বের ম্যাচগুলি সফল ভাবে আয়োজনের জন্য সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ও স্থানীয় আয়োজক কমিটিকে অভিনন্দন। প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও যে ভাবে কঠোর পরিশ্রম ও সৎ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই লিগের খেলাগুলি তার প্রয়োজনীয় মান বজায় রেখে আয়োজন করেছেন আপনারা, তা আপনাদের দায়িত্ববোধ ও প্রত্যয়ের পরিচয় দিয়েছে

বিদেশি অতিথি ও ফুটবলারদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ জন এই চিঠিতে লেখেন, এএফসি কর্মকর্তা ও অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলির ফুটবলার, কোচ, কর্তাদের সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে যে ভাবে তাঁদের সারা টুর্নামেন্ট জুড়ে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে, সে জন্য স্থানীয় আয়োজক কমিটির যথেষ্ট প্রশংসা প্রাপ্য। সে জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আশা করি, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই সুষ্ঠু আয়োজনের পরে ভবিষ্যতে আরও ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে এএফসি

প্রসঙ্গত এর আগেই প্রায় পাঁচ মাস ধরে ১১টি দলকে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে রেখে হিরো আইএসএল ২০২০-২১-এর ১১৫টি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে এই ফতোরদা স্টেডিয়াম-সহ আরও দুটি স্টেডিয়ামে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই ম্যাচগুলির আয়োজন করা হয়।

এই পর্বে অংশগ্রহনকারী বিদেশি দলের কোচ, কর্তারাও গোয়ায় এই ম্যাচগুলি আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। ১৯৯৮-এর বিশ্বকাপ ফুটবলজয়ী দলের সদস্য ও আল রাইয়ানের প্রধান কোচ লরাঁ ব্লা মন্তব্য করেন, এই গ্রুপের খেলাগুলোর আয়োজন দেখে আমার মনে হয়েছে, খুবই ভাল। আমি জানি, (এ রকম কঠিন সময়ে) এত বড় লিগের খেলা আয়োজন করা মোটেই সোজা নয়। তাই আয়োজকদের অসংখ্য ধন্যবাদ

গ্রুপের শীর্ষে থাকা ইরানের পার্সেপোলিস এফসি-র কোচ ইয়াহিয়া গোলমোহাম্মাদির গলাতেও শোনা গিয়েছে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে প্রশংসা। তিনি বলেছেন, এই ম্যাচগুলো এখানে আয়োজনের জন্য ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানাই। যা আতিথেয়তা এখানে পেয়েছি, সে জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিটি মানুষকে আমার ধন্যবাদ। প্রত্যেকে তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন

এ বার এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের শীর্ষকর্তার গলাতেও এমনই প্রশংসা। যার ফলে ভবিষ্যতে এ দেশে এএফসি-র উল্লেখযোগ্য আসর বসার পথ আরও প্রশস্ত হল বলা যায়।