এই বছরের (২০২১) এএফসি কাপে এটিকে মোহনবাগানকে রাখা হয়েছে গ্রুপ ডি-তে। তাদের সঙ্গে একই গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস ও মালদ্বীপের মাজিয়া এসঅ্যান্ডআরসি। এ ছাড়া সাউথ জোন প্লে অফ রাউন্ডের সেরা দলও এই গ্রুপে খেলবে।

২০১৯-২০-র হিরো আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এটিকে মোহনবাগান এ বছর এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এ বছর এটিকে-র সঙ্গে তারা হাত মেলানোয় সম্মিলিত নতুন ক্লাবই এই টুর্নামেন্টে খেলবে। গতবার হিরো আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য এটিকে-র এই টুর্নামেন্টে কোয়ালিফাইং রাউন্ড ২-এ খেলার কথা ছিল। কিন্তু সেই জায়গায় তৃতীয় স্থানীধিকারী বেঙ্গালুরু এফসি খেলবে এই পর্বে।

এই পর্বে বেঙ্গালুরুকে মুখোমুখি হতে হবে নেপালের আর্মি ক্লাব বা শ্রীলঙ্কা পুলিশের মধ্যে যে কোনও একটি দলের। রাউন্ড ২-এর অপর ম্যাচে বাংলাদেশের আবাহনী ঢাকার মুখোমুখি হবে মালদ্বীপের ক্লাব ইগলস বা ভুটানের থিম্পু সিটি। বেঙ্গালুরু ও আবাহনীর দু’টি ম্যাচই হওয়ার কথা ১৪ এপ্রিল।

এই দুই ম্যাচের জয়ী দল মুখোমুখি হবে প্লে-অফ ম্যাচে, যে ম্যাচের জয়ী দলই হবে এটিকে মোহনবাগানের গ্রুপের চতুর্থ প্রতিদ্বন্দী। অর্থাৎ, একই গ্রুপে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের সঙ্গে বেঙ্গালুরু এফসি-রও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর এএফসি-র সব আন্তঃক্লাব প্রতিযোগিতাই হবে একটি নির্দিষ্ট ভেনুতে। এএফসি কাপের গ্রুপ ডি-র ম্যাচগুলি কোথায় হবে, তা এখনও ঠিক না হলেও, সিদ্ধান্ত হয়েছ, তা হবে ১৪ মে থেকে।

অন্যদিকে, এ বছরই প্রথম এশিয়ার বৃহত্তম আন্তঃক্লাব প্রতিযোগিতা এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে চলেছে কোনও ভারতীয় ক্লাব। গত হিরো আইএসএলে লিগ টেবলের এক নম্বরে থাকা এফসি গোয়া এই বিরল সম্মান অর্জন করতে চলেছে। তাদেরও গ্রুপবিন্যাস হল বুধবার। ইরানের পার্সেপোলিস এফসি, কাতারের আল রায়ান এসসি ও এফসি গোয়া একই গ্রুপে থাকছে। ওয়েস্ট জোন গ্রুপ ই-তে থাকছে তারা। আরব আমিরশাহীর আল ওয়াহদা ও ইরাকের আল জাওরার মধ্যে প্লে-অফ ম্যাচে নির্ধারিত হবে এই গ্রুপের চতুর্থ দলটি।

এ বছর এই লিগে দলের সংখ্যা ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করা হয়েছে। এফসি গোয়ার ম্যাচগুলি হবে ১৪ থেকে ৩০ এপ্রিল। এই লিগের প্রিকোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব হবে ১৩-১৫ সেপ্টেম্বর। কোয়ার্টার ফাইনাল ২৭-২৯ সেপ্টেম্বর। দুই লেগের সেমিফাইনাল হবে অক্টোবরের ১৯ থেকে ২৭ পর্যন্ত। দুই লেগের ফাইনাল হবে ২১-২৭ নভেম্বর।