Image credit: FCGoaOfficial@Twitter

ফের এগিয়ে থেকেও ম্যাচ জেতা হল না এফসি গোয়ার। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কাতারের আল রাইয়ানের বিরুদ্ধে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত এক গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ১-১ ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হল গোয়ার দলকে। তিন মিনিটের মাথায় জর্জ ওর্টিজের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরে যখন তারা জয়ের দোরগোড়ায়, তখন বিপক্ষের প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় আলি ফারিদুনের গোলে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। প্রসঙ্গত পার্সেপোলিসের বিরুদ্ধেও এক গোলে এগিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারতে হয়েছিল।

এ ভাবে স্বপ্ন ভেঙে যেতে দেখে যে বেশ হতাশ, তা দলের কোচ হুয়ান ফেরান্দোর কথাতেই স্পষ্ট। তিনি সাংবাদিকদের বলেই দেন, শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়াটা খুবই কষ্টের। তবে আমরা একটা দুর্দান্ত দলের বিরুদ্ধে খেলেছি। এই সব দলের বিরুদ্ধে খেলা একটা বড় অভিজ্ঞতা। ভারতে এখন কঠিন সময় চলছে। আমাদের জয়টা তাই হয় এই সময়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারত

নিজের দলের পারফরম্যান্স নিয়ে ফেরান্দো বলেন, দল যথেষ্ট ভাল খেলেছে। কিন্তু আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। শেষ ম্যাচে আল ওয়াহদার বিরুদ্ধে আরও একটা সুযোগ আছে বটে আমাদের। কিন্তু এই ম্যাচগুলোর প্রস্তুতি ঠিকমতো হয়নি চোট-আঘাতের কারণে। বৃহস্পতিবার এই ম্যাচে নামার আগেই অবশ্য টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল গোয়ার দল। সোমবার রাতে আল ওয়াহদা ইরানের পার্সেপোলিসকে ১-০ গোলে হারানোয় ফেরান্দোর দলের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু কেন জিততে পারলেন না তাঁরা? এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ফেরান্দো বলেন, যখন কোনও দল আক্রমণের পরে রক্ষণে নেমে আসে, তখন তারা তৈরি থাকে না। ভারতীয় দলগুলোর সঙ্গে আল রাইয়ানের মতো দলের ফারাক এই জায়গাতেই। আমি আমার ছেলেদের তো জানি। ওদের কাছে এটা ভয়ঙ্কর একটা মুহূর্ত। এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। একবার ভুল হতেই পারে। কিন্তু একই ভুল দুবার হওয়ার ঠিক না

ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোলকিপার ধীরজ সিং পাস করতে গিয়ে হঠাৎ ভুল করে বসেন এবং বল চলে যায় আলি ফারিদুনের কাছে। যিনি বিন্দুমাত্র দেরি না করে গোলে বল ঠেলে দেন। আকস্মিক এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যায় দলের প্রায় সকলেই।

ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজের হাওয়ায় ভাসানো পাস থেকে গোলে শট নেওয়ার চেষ্টা করেন জর্জ ওর্টিজ। কিন্তু প্রথমবার বল বার করে দেন গোলকিপার সৌদ আবদুল্লা। ফিরত আসা বল পেয়ে তা গোলে ঠেলে দেন তিনি।

শেষে গোল হজম করার জন্য তিনি প্রায় পুরোটাই দায়ী হলেও ধীরজ কিন্তু এ দিন বরাবরের মতো যথেষ্ট ভাল ফর্মে ছিলেন। এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরে বিপক্ষের চাপ সামলে নেওয়ার কাজটা ভালমতোই করে দেখান গোয়ার ফুটবলাররা। ৯ মিনিটের মাথায় ইওহান বলি-র নীচু শট আটকে দেন ধীরজ। ২৯ মিনিটে নাইফ আল হাধরামি একটি ক্রস থেকে ভলি মারেন গোলে। সে যাত্রাও বাঁচিয়ে দেন ধীরজ। ৪০ মিনিটের মাথায় ফের বলির গোলমুখী শট পাঞ্চ করে বার করে দেন ধীরজ।   

গোলের ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করে এফসি গোয়াও। ইশান পন্ডিতার দূরপাল্লার শট আটকে যায় বিপক্ষের গোলকিপারের হাতে। ৭২ মিনিটের মাথায় গ্ল্যান মার্টিন্স ব্যবধান বাড়ানোর দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দূরপাল্লার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার আল ওয়াহদার বিরুদ্ধে এফসি গোয়াকে নেহাতই নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে হবে।