শুরুতেই হোঁচট খাওয়া দুই দিশাহারা দল মুখোমুখি হতে চলেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে। এসসি ইস্টবেঙ্গল ও এফসি গোয়া। এ বারের হিরো আইএসএলে দুই দলেরই এখনও জয়ের মুখ দেখা হয়ে ওঠেনি। এসসি ইস্টবেঙ্গল তবু দু’টি ম্যাচে ড্র করে দু’টি পয়েন্ট ঘরে তুলতে পেরেছে। কিন্তু দু’বারের ফাইনালিস্ট ও প্রথমবারের লিগশিল্ডজয়ী এফসি গোয়া একটিও পয়েন্ট ঘরে তুলতে পারেনি। মঙ্গলবার দুর্বল এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে যেমন প্রথম জয়ের সংকল্প নিয়ে নামবে এফসি গোয়া, তেমনই উল্টোটাও হতে পারে। এসসি ইস্টবেঙ্গল তাও কিছু পয়েন্ট অর্জন করতে পেরেছে। কিন্তু এফসি গোয়া এখনও একটিও পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি।

গত শুক্রবার পরপর দু’টি জয়ের পরে ছন্দে থাকা চেন্নাইন এফসি-কে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দেয়। প্রথম তিন ম্যাচে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারা দলের ফুটবলারদের কয়েকজন বুঝিয়ে দেন, তাঁরা সত্যিই ফর্মে ফেরার চেষ্টা করছেন। জয়ের রাস্তায় আসার ইঙ্গিত সেই ম্যাচেই পাওয়া যায় আন্তোনিও পেরোসেভিচদের খেলায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেন তাঁরা। রক্ষণের সমস্যা কিছুটা হলেও হয়তো মিটেছে। কিন্তু গোলের সুযোগ নষ্টের সমস্যা দুর্বল ও দিশাহারা গোয়ার বিরুদ্ধে দূর করতে পারে কি না হোসে মানুয়েল দিয়াজের দলের ছেলেরা, সেটাই দেখার। এর চেয়ে ভাল সুযোগ বোধহয় আর তারা পাবে না। গতবার হিরো আইএসএলে দু’বারের মুখোমুখিতেই ১-১ ড্র করেছে দুই দল। এ বার তাই দুই পক্ষের কাছেই প্রথম জয়ের হাতছানি। 

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স

এসসি ইস্টবেঙ্গল: জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ১-১ ড্র দিয়ে এ বারের লিগ শুরু করেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। শুরুতে গোল দিয়ে বিরতির ঠিক আগে গোল খেয়ে যাওয়ার পরে আর দ্বিতীয়ার্ধে গোলের মুখ খুলতে পারেননি তাদের ফরোয়ার্ডরা। কলকাতা ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গল আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করলেও দশ মিনট পর থেকে ম্যাচের রাশ নিয়ে নেয় এটিকে মোহনবাগান। বিপর্যস্ত এসসি ইস্টবেঙ্গল শিবির আর খেলায় ফিরতে পারেনি। সারা ম্যাচে একটি শটও গোলে রাখতে পারেনি তারা। ওডিশা এফসি-র বিরুদ্ধে সবার আগে লাল হলুদের ডাচ খেলোয়াড় ড্যারেন সিডোলই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু হেক্টর রোডাস, আরিদাই সুয়ারেজ, হাভিয়ে হার্নান্ডেজ, আইজ্যাকরা গোলের মালা পড়ান তাদের। সে দিনের ম্যাচে খুবই আগোছালো ফুটবল খেলে এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে ম্যাচের শেষ দিকে ড্যানিয়েল চিমা জোড়া গোল করে ও তরুণ ফরোয়ার্ড সেম্বয় হাওকিপ একটি গোল করে দলকে লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে আসেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৬-৪-এ ম্যাচ জেতে ওডিশা। চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে খাতায় কলমে এসসি ইস্টবেঙ্গল পিছিয়ে থেকে নামলেও লড়াই করে  সমানে সমানে। আগের দুই ম্যাচের চেয়ে অনেক উন্নত  পারফরম্যান্স দেখিয়ে গোলশূন্য ড্র করে লিগের দ্বিতীয় পয়েন্ট অর্জন করে তারা।

এফসি গোয়া: কয়েক মাস আগে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে এলেও হিরো আইএসএলে ততটাই খারাপ শুরু করেছে এফসি গোয়া। প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দী মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে তিন গোলে হারে তারা। জামশেদপুর এফসি-র কাছেও ১-৩-এ হারে। দুই ম্যাচেই বল পজেশনে এফসি গোয়া এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারেনি তাদের দুর্বল আক্রমণ বিভাগের জন্য। তৃতীয় ম্যাচেও সেই সমস্যা দূর হয়নি ফেরান্দোর দলের। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে প্রথম পয়েন্ট অর্জনের দোরগোড়ায় এসেও তাদের ফিরে যেতে হয় শেষ মুহূর্তে বিদেশি মিডফিল্ডার খাসা কামারার গোলে। তিন ম্যাচের সবকটিতে হেরে ও আট গোল খেয়ে গোয়া শিবির এখন কার্যত দিশাহারা।

দলের খবর

এসসি ইস্টবেঙ্গল: লিগ শুরুর আগে তাদের এ বারের দলকে গত বারের চেয়ে ভাল মনে হলেও প্রথম তিন ম্যাচ দেখার পরে দল নির্বাচন নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, দলে যে নতুন বিদেশিরা এসেছেন, তাঁদের প্রোফাইল বেশ ভাল হলেও মাঠে তার প্রতিফলন এখনও সে ভাবে পাওয়া যায়নি কেন? ক্রোয়েশিয়া থেকে আসা অনূর্ধ্ব ২১ জাতীয় দলের স্টপার ফ্রানিও পর্চে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত একটি গোল করে আশা জাগালেও পরের ম্যাচগুলোতে ব্যর্থ। ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড আন্তোনিও পেরোসেভিচ প্রথম ম্যাচে আশাজনক পারফরম্যান্স দেখিয়ে লাল-হলুদ জনতার নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন। তবে এটিকে মোহনবাগান ও ওডিশা এফসির দাপটে কাবু হয়ে যান। নাইজেরিয়া থেকে আসা ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ দলের গোলমেশিনহয়ে উঠতে পারেন বলে ভেবেছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে চিমা নামের প্রতি একদমই সুবিচার করতে পারেননি। ওডিশার বিরুদ্ধে বরং দুটি গোল করে ক্ষীণ আশার আলো দেখিয়েছেন তিনি। তবে ওডিশার ফুটবলাররা যে ভাবে তাদের ডিফেন্ডারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন, তার পরে দলের রক্ষণ নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। অবশ্য গত শুক্রবার চেন্নাইন এফসি ঘন ঘন আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করলেও তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন সেই ডিফেন্ডাররাই। আগের চেয়ে অনেক বেশি দায়িত্বশীল রক্ষণ বিভাগ সে দিন লাল-হলুদ সমর্থকদের আশার আলো দেখিয়েছে। সেট পিসে গোল খাওয়ার রোগও সে দিন দেখা যায়নি তাঁদের মধ্যে। গত ম্যাচে জোড়া গোল পাওয়া ড্যানিয়েল চিমাকেও আগের চেয়ে উজ্জ্বল মনে হয়েছিল সে দিন। গোলকিপার শুভম সেনও একাধিক অবধারিত গোল বাঁচিয়ে দলকে বিপদ থেকে বাঁচান। সব মিলিয়ে যথেষ্ট উন্নত পারফরম্যান্স দেখিয়ে জয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে হোসে মানুয়েল দিয়াজের দলের ছেলেরা। এই ম্যাচে সম্ভবত তিনি একই দল রাখতে চাইবেন। তবে গত ম্যাচে মহম্মদ রফিকের পেশীতে টান ধরে। তিনি পুরোপুরি সেরে না উঠলে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।      

এফসি গোয়া: ফেরান কোরোমিনাস ও ইগর অ্যাঙ্গুলো এ বার চলে যাওয়ায় গোয়ার দলের আক্রমণ বিভাগ বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। তেমনই জোমস দোনাচি চলে যাওয়ায় রক্ষণে তাঁর অভাব টের পাচ্ছেন কোচ ফেরান্দো। আক্রমণে অভাব পূরণ করার জন্য আইরাম কাবরেরাকে নিয়ে আসা হয়েছে পোল্যান্ডের প্রথম ডিভিশন ক্লাব উইসলা প্লক থেকে। স্পেনের লোয়ার ডিভিশনে খেলা এই ফরোয়ার্ড ৮৭ মিনিট মাঠে থেকে একটি গোল করলেও এখন পর্যন্ত সে রকম কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেননি। নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি থেকে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ব্যাক ডিলান ফক্স। যিনি এ বার এখন পর্যন্ত মাঠে নামতে পারেননি। ইশান পন্ডিতা, অমরজিৎ সিং কিয়াম, সেমিনলেন দুঙ্গেলরাও অন্য দলে চলে যাওয়াতেও বেশ সমস্যায় পড়েছেন কোচ। পুরো দলটাই যেখানে ভাল অবস্থায় নেই, সেখানে দল গড়াটাই কঠিন কাজ। মন্দের মধ্যে ভাল বলতে এডু বেদিয়া, আলবার্তো নগুয়েরা ও জর্জ ওর্টিজ। এডু মাঝমাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর পাসিং অ্যকিউরেসিও ভাল। বিপক্ষের আক্রমণ আটকানোর পাশাপাশি গোলের নিখুঁত পাসও বাড়ান তিনি। অন্য দিকে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড গোলের সুযোগ তৈরির জন্য প্রায়ই মরিয়া হয়ে উঠলেও সতীর্থদের কাছ থেকে তেমন সাহায্য না পাওয়ায় কার্যকরী হয়ে উঠতে পারছেন না। নগুয়েরার ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। টিমগেমে গোটা দলটাই এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। ফিনিশিং এ পর্যন্ত এই দলের সবচেয়ে বড় সমস্যা। যা গোয়ার দলে আগে কখনও হয়নি। শট অ্যকিউরেসিতে তারা সবার চেয়ে পিছিয়ে। সেট পিসেও খুবই দূর্বল স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দোর দল। বেশির ভাগ গোলই খেয়েছেন বিপক্ষের সেট পিস মুভ থেকে। মঙ্গলবার হয়তো নতুন কম্বিনেশন পরখ করার চেষ্টা করবেন ফেরান্দো। কিন্তু কী সেই কম্বিনেশন, তা তিনি নিজেও ঠিকমতো জানেন না বোধহয়।

নজরে থাকবেন যাঁরা

এসসি ইস্টবেঙ্গল

হীরা মন্ডল: তিন ম্যাচে দশ গোল খেয়ে যখন এসসি ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তখন গত শুক্রবার চেন্নাইনের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাদের ডিফেন্ডাররা বিপক্ষকে আটকে দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন এত  সমালোচনা তাদের প্রাপ্য নয়। সেই ম্যাচে ডিফেন্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সাইড ব্যাক হীরা মন্ডল। ম্যাচের নায়কের পুরস্কারও জিতে নেন তিনি। যা নিয়ে কারও মনে কোনও সন্দেহও ছিল না। সে দিন কার্যত একা যেমন বিপক্ষের অ্যাটাকরদের সামলান, তেমনই মাঝমাঠে উঠে গিয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করার জন্য পাসও দেন বৈদ্যবাটির হীরা। ২৫ বছর বয়সি হীরা মন্ডল গত হিরো আই লিগে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে ১৪টি ম্যাচ খেলেন। ডিফেন্ডার হলেও দু’টি গোল করেন ও একটি গোলে সাহায্যও করেন। তার আগের মরশুমেও তিনি কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে নেমে আটটি ম্যাচ খেলেন। তাদের হয়ে ডুরান্ড কাপ ও আইএফএ শিল্ডেও খেলেছেন। ২০১৮-১৯ মরশুমে তিনি লাল-হলুদ ব্রিগেডে যোগ দিয়েছিলেন। সে বার রিজার্ভ দলের সঙ্গে সিকিম গভর্নর্স গোল্ড কাপে খেলতে যান। তার আগে তিন বছর পোর্ট ট্রাস্ট, রেনবো, টালিগঞ্জ অগ্রগামী ও পিয়ারলেসের হয়ে স্থানীয় লিগেও খেলেন হীরা। বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফিও খেলেছেন। এ পর্যন্ত ২৭০ মিনিট মাঠে থেকে আটটি ইন্টারসেপশন, ১২টি ট্যাকল, আটটি ক্লিয়ারেন্স ও চারটি ব্লক করেছেন তিনি। ক্রমশ কোচ দিয়াজের কাছে নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার হয়ে উঠছেন এই বঙ্গ ফুটবলার।

এফসি গোয়া

আলবার্তো নগুয়েরা: গোয়ার দলের একমাত্র খেলোয়াড়, যাঁর খেলা দেখে আশায় বুক বাঁধতে পারেন সমর্থকেরা। ৩২ বছর বয়সি এই ফরোয়ার্ড তিন ম্যাচে একটিও গোল না পেলেও একটি অ্যাসিস্ট করেছেন। ইংল্যান্ডের ক্লাব ফুটবলে খেলে আসা এই মিডফিল্ডার এফসি গোয়ায় যোগ দেন গত মরশুমে। গতবার মোট আটটি গোলে সাহায্য করে সেরা অ্যাসিস্টের পুরস্কারও পান। এ বার প্রথম দুই ম্যাচে সাড়া জাগাতে না পারলেও নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি নিজেকে ফিরিয়ে আনার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। মোট ৮১ মিনিট মাঠে ছিলেন। এর মধ্যে একমাত্র গোলে অ্যাসিস্ট করেন। পাঁচটি গোলের সুযোগ তৈরি করেন একাই। তাঁর একটি শট ছিল গোলে। মোট ৫৬টি পাস দেন সতীর্থদের, তার মধ্যে ৫০টিই ছিল নিখুঁত। অর্থাৎ পাসিং অ্যাকিউরেসি ৮৯%। মঙ্গলবারের ম্যাচে তিনি এই ফর্মে থাকলে ও সতীর্থদের কাছ থেকে সাহায্য পেলে বড়সড় অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারেন। তাই এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোয়ার সমর্থকেরা পাঁচ নম্বর জার্সির এই খেলোয়াড়ের মুখের দিকে অবশ্যই তাকিয়ে বসে থাকবেন।   

এসসি ইস্টবেঙ্গল স্কোয়াড

গোলকিপার: অরিন্দম ভট্টাচার্য, শুভম সেন, শঙ্কর রায়;

ডিফেন্ডার: আদিল খান, স্যারিনিও ফার্নান্ডেজ, রাজু গায়কোয়াড়, হীরা মন্ডল, জয়নার লরেন্সো, অঙ্কিত মুখার্জি, ড্যানিয়েল গোমস, গৌতম সিং, আকাশদীপ সিং, টমিস্লাভ মরচেলা ও ফ্রানিও পর্চে;

মিডফিল্ডার: অমরজিৎ সিং কিয়াম, জ্যাকিচন্দ সিং, রোমিও ফার্নান্ডেজ, সৌরভ দাস, সংপু সিঙসিট, লালরিনলিয়ানা হামতে, আঙ্গুসানা ওয়াহেংবাম, মহম্মদ রফিক, বিকাশ জায়রু, লোকেন মেতেই, আমির দার্ভিসেভিচ, ড্যারেন সিডোল;

ফরোয়ার্ড: নাওরেম মহেশ সিং, থঙখোসিম সেম্বয় হাওকিপ, বলওয়ন্ত সিং, সিদ্ধার্থ শোরোদকর, শুভ ঘোষ, ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ, আন্তোনিও পেরোসেভিচ।     

ম্যাচ: এসসি ইস্টবেঙ্গল বনাম এফসি গোয়া

তারিখ ও সময়: ৭ ডিসেম্বর, সন্ধ্যা ৭.৩০

ভেনু: তিলক ময়দান স্টেডিয়াম, ভাস্কো

সম্প্রচার: স্টার স্পোর্টস ২, স্টার স্পোর্টস ২ এইচডি, স্টার স্পোর্টস ৩, স্টার স্পোর্টস ১ হিন্দি, স্টার স্পোর্টস ১ হিন্দি এইচডি, স্টার স্পোর্টস ১ বাংলা

অনলাইন স্ট্রিমিং: ডিজনি+হটস্টার ও জিও টিভি