শুরু থেকেই এফসি গোয়াকে চাপে রাখার পরিকল্পনা নিয়েই নেমেছিল এটিকে। জানিয়ে দিলেন তাদের সহকারী কোচ ম্যানুয়েল পেরেজ। শনিবার ঘরের মাঠে গোয়ার দলকে ২-০ গোলে হারানোর পরে পেরেজ সাংবাদিকদের বলেন, “খুব ভাল ফল হয়েছে আজ। এই জয়ের ফলে আমরা ফের শীর্ষে উঠে গেলাম। ওদের কাছে আমরা হেরে এসেছিলাম ২-১-এ। ওদের হারালাম ২-০-য়। লিগের শেষে যদি আমাদের পয়েন্ট সমান হয়ে যায়, তখন আমরা মুখোমুখি ফলাফলের দিক থেকে এগিয়ে থাকব। এই ফলটা আমাদের পক্ষে খুব ভাল হল”।

এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা বদল নিয়ে পেরেজ বলেন, “কেরালার বিরুদ্ধে আমরা ৫-৩-২ ছকে খেলেছিলাম, আজ পুরোপুরি অন্য ছকে খেলেছি। প্রতি ম্যাচেই আমরা ছক বদলে খেলার চেষ্টা করি। আজ আমরা ওদের শুরু থেকেই চাপে রাখব বলে ঠিক করেছিলাম। তাই আজ সামনে চারজনকে রেখেছিলাম। তবে প্রথমার্ধে  আমরা ওদের বেশি চাপ দিতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে চাপটা বাড়াতে বলি ছেলেদের। ছেলেদের বলি, নিজেদের খেলা কিছুটা পাল্টে নেওয়ার চেষ্টা করো। একই রকম খেললে ওদের সুবিধা হয়ে যাবে।”।

এ দিন মাঠে ছিলেন না হাবাস। আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় তাঁকে এ দিন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে হয়। তবে গ্যালারিতে থাকলেও তাঁকে চেনা উত্তেজিত অবস্থাতেই দেখা যাচ্ছিল বারবার। টিভিতে দেখা যায়, পেরেজর সঙ্গে ইশারায়, ইঙ্গিতে কথা হচ্ছিল তাঁর। এই প্রসঙ্গে পেরেজ বলেন, “হাবাস দলটার নেতা, তবু আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিই, সব সময় নিজেদের মধ্যে কথা বলি। ফলে প্রত্যেক সাপোর্ট স্টাফ জানে কোন পরিস্থিতিতে আমাদের কী করা উচিত। ম্যাচের আগে থেকে পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন হাবাস। প্রতি ম্যাচেই যেটা আগে থেকে হয়, এই ম্যাচেও সেটা হয়েছে। ফলে কোনও অসুবিধা হয়নি। আজ আমার দায়িত্ব ছিল। পরের ম্যাচ থেকে হাবাস আবার নিজের দায়িত্বে ফিরবে। এটাই আসলে একটা দল হিসেবে খেলা”।

শনিবার জবি জাস্টিনকে প্রথম এগারোয় রাখা হয়েছিল। তাঁর খেলায় খুশি সহকারী কোচ বলেন, “প্রতি দিনই ও উন্নতি করছে। আজ জবিকে আমরা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে বাঁদিকে রেখে ব্যবহার করেছি। ডান দিকে ছিল হাভি । ওদের একজনের ডান পা ভাল, অন্য জনের বাঁ পা ভাল চলে। তাই যাতে নিজেদের মধ্যে দ্রুত নিখুঁত পাস আদান-প্রদান করতে পারে, সে জন্যই এই কম্বিনেশনটা ব্যবহার করি। এটা কাজেও লেগেছে”।