হিরো আইএসএলে কলকাতার দলের গোলপ্রহরী তিনি। বাংলার ছেলে অরিন্দম ভট্টাচার্য। অসাধারণ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় এটিকে-র গোলের মুখ বেশির ভাগ সময়েই বন্ধ রাখেন। ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিতে পারলেও তাঁকে পরাস্ত করে গোল দেওয়া এটিকে-র বিপক্ষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। চলতি আইএসএলে ২৭টি অবধারিত গোল বাঁচিয়ে সেরা গোলকিপারের দৌড়েও রয়েছেন অরিন্দম। ফুটবলজীবনের সেরা সময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন তিনি?

হ্যাঁ, অরিন্দম বলছেন, এটাই তাঁর ফুটবলজীবনের সেরা সময়। তাঁর বক্তব্য, “আমার মনে হত, গোয়ায় যে সাত-আট বছর কাটিয়েছিলাম, সেটাই আমার ফুটবলজীবনের সেরা সময় ছিল। তবে এখন যেহেতু নিজের শহরে রয়েছি, বাড়ির কাছাকাছিই থাকতে পারি। আত্মবিশ্বাস নিয়ে গোলে দাঁড়াতে পারছি। তাই এখন মনে হয়, এটাই আমার সেরা সময়”। হিরো আইএসএলের ইউটিউব চ্যানেলে ওয়েব ডকুমেন্টারি সিরিজ ‘আমার বুকে এটিকে’-র অষ্টম এপিসোডে অরিন্দম বলেছেন এই কথাগুলি।

২০০৮-২০০৯ মরশুমের আই লিগে তিনি সেরা গোলকিপারের খেতাব জিতে নিয়েছিলেন তাঁর দল চার্চিল ব্রাদার্সকে চ্যাম্পিয়ন করে। সেই বছরেই ভারতীয় দলের কোচ বব হাউটন তাঁকে ডেকে নেন তাঁর দলে। খড়দার অরিন্দমকে তার পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১২-১৩ মরশুমে তিনি মোহনবাগানে যোগ দিলেও পরের বছরই ফিরে যান চার্চিলে। ফের ২০১৪-য় চার্চিলের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন তিনি। সেবার আর এক ভারতসেরা টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় গোয়ার দলটি। তার পরই তাঁর আইএসএল অভিযান শুরু।

পুণে সিটির হয়ে তিন বছর খেলার পরে অরিন্দম যোগ দেন মুম্বই সিটি এফসি-তে। গত মরশুমের আগে তিনি যোগ দেন কলকাতার আইএসএল দল এটিকে এফসি-তে। ১৮টি ম্যাচে ৪৭টি সেভ করে নিজের জায়গা পাকা করে নেন এটিকে-র প্রথম দলে। তাঁর এই পারফরম্যান্সের জন্যই এ বারে দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরে কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসও অরিন্দমকে প্রথম এগারোর বাইরে রাখতে পারেননি একটিও ম্যাচে।

‘আমার বুকে এটিকে’-র এই পর্বে এক দীর্ঘ ও এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে অরিন্দম নিজের সেরা সময়ের কথা ছাড়াও কথা বলেছেন আরও নানা বিষয়ে। নিজের ফিটনেস কী করে বজায় রাখেন, কী করে প্রিয় খাবারের থেকে নিজেকে দূরে রাখেন, বলেছেন সে কথা। এটিকে-র অ্যাকাডেমিতে ভবিষ্যতের ফুটবলার তৈরি হওয়া নিয়ে এবং এটিকে সতীর্থদের নিয়েও বলেছেন অনেক কথাই।

এ ছাড়াও ‘আমার বুকে এটিকে’-র এই পর্বে ফিরে দেখতে পাবেন স্প্যানিশ তারকাদের সঙ্গে আড্ডার নানা মুহূর্ত ও আইএসএলের শুরুর দিকে দেওয়া এটিকে-র বেশ কয়েকটি অসাধারণ গোলও।

‘আমার বুকে এটিকে’-র আট নম্বর পর্ব প্রকাশিত হয়েছে। দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন।