পরপর দুই হারে স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস শুধু হতাশ নন, তিনি ক্ষুব্ধও। তবে তাঁর আশা পরের ম্যাচগুলোতে নিজেদের আসল জায়গায় ফিরে আসতে পারবেন তাঁর দলের ছেলেরা। সোমবার। ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে যা বললেন তিনি, তার নির্বাচিত অংশ তুলে দেওয়া হল।  

পরপর দুই ম্যাচে হারের কারণ কী?

গত দুটো ম্যাচ নিয়ে ভেবে আর লাভ নেই। এখন আমাদের পরের ম্যাচের দিকে তাকানোই ভাল। আমাদের সার্বিক ভাবে উন্নতি করতে হবে। রেফারিদের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।

প্রথম দুই ম্যাচে সাত গোল দেওয়ার পরে দলের এই পারফরম্যান্স কেন?

আমরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলতে পারছি না, তাই। (তৃতীয় ম্যাচ থেকে) মাঠে আমাদের কাছে একটাও ভাল মুহূর্ত আসেনি। তবে আমার মনে হয় পরের ম্যাচগুলোতে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে।

জামশেদপুর এফসি-র পারফরম্যান্স নিয়ে কী বলবেন?

সে রকম কিছুই না। ওরা দ্বিতীয়ার্ধে একটাই গোলের সুযোগ পেয়েছে এবং সেটা থেকেই গোল করেছে। এমন শেষ কবে হয়েছে আমি মনে করতে পারছি না। ওরা দুটো সুযোগ পেয়েছিল এবং দুটোই কাজে লাগিয়েছে। তবে অজুহাত দেব না। স্কোর ২-১ হয়েছে। আমাদের উন্নতি করতে হবে।

আজ আশুতোষকে প্রথম দলে খেলালেন। অনেককেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়েছেন। সেরা এগারো কি খুঁজে পেয়েছেন এখন পর্যন্ত?

আমার তা মনে হয় না। প্রথম দুই ম্যাচে দল ভাল খেলেছিল। কিন্তু তার পর থেকে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। অনেকগুলো ব্যাপার আমাদের ফলে প্রভাব ফেলেছে। মাঝে মাঝে পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে গিয়েছে।

আমরা যে ভাল মানের দল, তা প্রমাণ করতে হবে

সবুজ-মেরুন শিবিরের তারকা ফরোয়ার্ড ও জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া রয় কৃষ্ণা ম্যাচের পরে যা বললেন, তা এরকম:

আমরা যথেষ্ট ভাল খেলতে পারিনি। গত ম্যাচে হারের পরে আমাদের আরও মরিয়া হয়ে ওঠা উচিত ছিল। আমরা জানতাম জামশেদপুর যথেষ্ট ভাল দল। ওরা সত্যিই ভাল দল এবং আজকের ম্যাচে ওদেরই তিন পয়েন্ট প্রাপ্য ছিল। এ বার আমাদের ড্রইং বোর্ডে ফিরে যেতে হবে এবং আরও পরিশ্রম করতে হবে।

দু’টো ম্যাচ হেরে সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি। এখনও অনেকটা পথ যাওয়া বাকি আমাদের। যথেষ্ট ভাল মানের খেলোয়াড় রয়েছে আমাদের দলে। সেটা আমাদের প্রমাণ করতে হবে। দলের ছেলেদের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। আশা করি পরের ম্যাচে ওরা পুরো শক্তি উজাড় করে দেবে।

কোনও জায়গাতেই আজ আমরা ভাল খেলতে পারিনি। কখনওই আমাদের দেখে মনে হয়নি আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারছি। এ বার কোচ নিশ্চয়ই অন্য কোনও কৌশল তৈরি করবেন। আমাদের সেটা বাস্তবায়িত করার জন্য ট্রেনিংয়ে আরও পরিশ্রম করতে হবে।

শেষ পর্যন্ত যে লড়াইটা করেছি আমরা, সেই আত্মবিশ্বাস আমাদের কাজে লাগবে। শেষ পাঁচ মিনিটে আমরা আমাদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছি। এই ম্যাচের শেষ পাঁচ মিনিটের ছন্দ নিয়েই আমাদের পরের ম্যাচ শুরু করতে হবে। আশা করি, পরের ম্যাচে আমরা সেটা করে দেখাতে পারব।