দিল্লী ডাইনামোস এফ সি কে তাদের ডেরায় গিয়ে ২-১ হারিয়ে মরসুমের প্রথম জয়ের মুখ দেখল এ টি কে। এ টি কের হয়ে গোল দুটি করেন বলবন্ত সিঙ্ঘ(১৯’) এবং মামউনি(৮৪’) আর দিল্লির তরফে অধিনায়ক প্রীতম কোটাল(৫৫’) গোল করেন।

ম্যাচের শুরুতেই এ টি কে আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে। প্রথম ১০ মিনিটেই এ টই কে দুটি সুযোগ পেয়ে যায় সৌজন্যে কালু উচে এবং বলবন্ত সিংহ। কিন্তু দুটি আক্রমণ সেভাবে ডানা মেলতে না পারায় গোলের মুখ খলেনি।

এ টি কে দিল্লি বক্সে চাপ বারাতে থাকে এবং কিছুক্ষণ পরেই তার ফল পায়। ১৯ মিনিটে ম্যানুএল লানযারট্টের ফরওয়ার্ড পাস ধরে বলবন্ত সিংহ কোনাকুনি দ্বিতীয় পোস্টের মাথার ওপর একটা শট মারে এবং সেখানে দিল্লি গোলরক্ষক ডরনসরোর কিছু করার ছিল না। গোলরক্ষক নড়াচড়া করার আগেই বলটি গোলে ধুকে যায়। এই গোলের সৌজন্যে এই মরসুমে কলকাতার দলটি প্রথমবারের জন্য তাদের গোলের খাতা খোলে।

এ টি কে ১ গোলের অগ্রগমন পেয়ে যেতেই দিল্লি দল মাঝমাঠ দখল করে আক্রমনে লোক বাড়াতে থাকে। এর ফলস্বরুপ ২৭ মিনিটে রেনে মিহেলিচের একটা ঠিকানা লেখা পাস রানা ঘরামির জন্য বাড়ায় কিন্তু রানা বলটা ধরতে না পেরে শেষমেশ গারসন ভিয়েরা কে ফউল করে বসেন।

৩৭ মিনিটের মাথায় এ টি কে আরও একটি গোল করার মুখ খুলে ফেলে, এভারটন স্যান্টোসের একা বল ধরে বক্সে ধুকে পরেন এবং তার শটটি দিল্লির ক্রেস্পি কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করে্ন।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছু আগে দিল্লি একটা সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় সমতা ফেরানর। লাল্লিনযুলালা চাংটে বাঁদিক দিয়ে দুজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় কে কাটিয়ে গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার আগে এ টি কে বল্বন্ত সিঙ্ঘের ১৯ মিনিটে করা গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই এ টি কের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে দিল্লি। আর এর সুবাদেই ৫৩ মিনিটে দিল্লির নারায়ণ দাসের কর্নার সোজাসুজি রানা ঘারামির মাথার ওপরে এসে পড়ে এবং সেই হেড ধরে অধিনায়ক প্রীতম কোটাল আরও একটি হেড করে যেটি সোজাসুজি গোলে ঢুকে যায়। দিল্লি সমতা ফিরিয়ে এনে ঘরের মাঠে তাদের প্রথম জয়ের লক্ষ্যে খেলা শুরু করে।

৬১ মিনিটে দিল্লি হেড কোচ জসেপ গাম্বউ প্রথম পরিবর্তনটি আনেন। সুভাম সারাঙ্গির জায়াগায় আক্রমণে লক বারানর জন্য আদ্রিয়া কারমনাকে মাথে আনেন। এরপরেই দিল্লির আদ্রিয়ান কালুজেরভিচের শট অরিন্দম কয়েক সেকেন্ডের মাথায় দুবার প্রতিহত করেন।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম আধ ঘন্টা সুধুই দিল্লির খেলয়ারদের এ টি কে বক্সে আক্রমন করতে দেখা যায়এবং ওই সময় এ টি কে কে নিজেদের দুর্গ বাঁচানোর জন্য লড়াই করে যেতে হয়। এ টি কের অপর চাপ বাড়াতে জসেপ গাম্বউ মোক্ষম চালটি চালেন। তিনি উইঙ্গার রোমিওকে মাঠে এনে ডান প্রান্তকে আর সচল করে দেন।

স্টিভ কপেল কমাল থাটালের জায়াগায় জায়েশ রানেকে নিয়ে আসেন ৭০ মিনিটে যাতে দুইপ্রান্ত আরও সচল হয় এ টি কের। কিন্তু তাতেও কিছু হয়ে ওথেনি। ৭৫ মিনিটের পর এ টি কে আবার আক্রমণে উঠতে থাকে বলবন্ত সিঙ্ঘের সউজন্যে। কিন্তু কালু উচে বা লানযারট্টে সেভাবে কারুকার্য না হওয়াই বল্বন্ত বারাবার একা হয়ে পড়ছিল।

৮১ মিনিটে কালু উচে সেভাবে কার্যকরী না হওয়ায় তাকে তুলে স্টিভ কপেল মামউনি কে নামিয়ে দেন এবং কে ভেবেছিল মামউনি সুপার সাব বা দুত হয়ে উঠবে এ টি কের সমর্থকদের কাছে। ৮৪ মিনিটে লানযারট্টের ক্রস ধরে গোল করে যান মামউনি। গোলের পরেই সব বর কোচেদের মত রখঙ্কে জমাট করতে লানযারট্টের জায়গায় বড় চেহারার আন্দ্রে বিকেকে নামিয়ে দেন। এ টি কে আর আক্রমনে না দিয়ে মাঝমাঠ জমাট রেখে রক্ষণকে সামাল দিতে থাকে। শেষ বাঁশি বাজা অবধি দিল্লি গোলের চেষ্টা করলেও তাতে লাভ কিছুই হয়নি।

এ টি কে ২-১ গোলে ম্যাচটি জিতে তাদের মরসুমের প্রথম জয়ের মুখ দেখে এবং তাও দিল্লির মাটিতে। শারদীয়ার মহোৎসবে এ টি কে সমর্থকদের জন্য এ টি কের তরফ থেকে উপহার বলাই যেতে পারে।