এই সপ্তাহের শেষেই ফের কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দী এটিকে মোহনবাগান ও এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম লেগের ম্যাচে ৩-০ গোলের হারের পর এ বার এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে এই ম্যাচে বদলা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও তারা আদৌও তা পারবে কী না, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে সোমবার হায়দরাবাদ এফসি-র কাছে ০-৪ গোলে হেরে যে ধাক্কা তারা খেয়েছে, তা মাত্র চার দিনের ব্যবধানে কী ভাবে সামলে ডার্বিতে জয়ে ফিরতে পারবে, এটাই বুঝতে পারছেন না সমর্থকেরা।

তবে ফুটবলে যেহেতু সবই সম্ভব এবং হিরো আইএসএলে যখন অঘটনের সীমা নেই, তখন এসসি ইস্টবেঙ্গল শনিবারের ম্যাচে জিততে পারবে না বা এটিকে মোহনবাগানকে আটকাতে পারবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা দেওয়ার ঝুঁকি কোনও বড় ফুটবল বোদ্ধাও নেবেন বলে মনে হয় না। কারণ, এটিকে মোহনবাগানও গতবারের মতো ধারাবাহিক ভাবে দাপুটে ফুটবল খেলতে পারছে না।

সম্প্রতি সবুজ-মেরুন শিবিরে কোভিড হানা দেওয়ায় তাদের পরপর তিনটি ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায়। তার পরে দলের ফুটবলাররা অনেকেই শারীরিক ও মানসিক ভাবে কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন এটিকে মোহনবাগানের নতুন কোচ হুয়ান ফেরান্দো। প্রাক্তন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস মরশুমের মাঝখানে দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তিনিই আপাতত দলের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে এবং তাঁর প্রশিক্ষণে দল এক নতুন স্টাইলে ফুটবল খেলার চেষ্টা করছে। এই কারণেও তাদের গতি কিছুটা হলেও শ্লথ হয়েছে।  

১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে এটিকে মোহনবাগান আপাতত লিগ টেবলের সাত নম্বরে। গত ম্যাচে ওডিশা এফসি-র বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করার ফলে টেবলে জায়গা পরিবর্তন হয়নি তাদের। ম্যাচটা জিতলে প্রথম চারে ফিরতে পারত ফেরান্দোর দল। কিন্তু তাদের সুযোগ এখনও রয়েছে। কারণ, তারা অন্যান্য দলের তুলনায় সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলেছে। অন্য দলগুলি যেখানে ১১, ১২ এমনকী কেউ ১৩টি করেও ম্যাচ খেলে ফেলেছে, সেখানে আসন্ন কলকাতা ডার্বি এটিকে মোহনবাগানের কাছে ১১ নম্বর ম্যাচ হতে চলেছে।

তা ছাড়া লিগ টেবলের যা অবস্থা, তাতে প্রথম সাত দলের মধ্যে মাত্র চার পয়েন্টের ফারাক রয়েছে। এখন ওপরের দিকের দলগুলি ধারাবাহিকতা দেখাতে না পারলে তাদের টেবলের নীচে নেমে আসতে বেশি সময় লাগবে না। এমনকী ১৪ পয়েন্ট পেয়ে ৮ ও নয় নম্বরে থাকা বেঙ্গালুরু এফসি ও এফসি গোয়াও আশা ছেড়ে দেয়নি। কারণ, খাতায় কলমে তাদেরও সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

শনিবার এ রকম চাপ নিয়েই চিরপ্রতিদ্বন্দীদের বিরুদ্ধে নামবে এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু এসসি ইস্টবেঙ্গলের অত চাপ নেই। পয়েন্টের ঘরে এখনও তারা দুই অঙ্কেও পৌঁছতে পারেনি। খাতায় কলমে যদিও তারাও সেরা চারের দৌড়ে আছে। কিন্তু এখন ভাল ফুটবল খেলাটাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। সেরা চারের লক্ষ্যে মাঠে নামাটা এই মুহূর্তে তাদের কাছে বিলাসিতা।  

ডার্বির চারদিন আগে কোন দলের তিন বিভাগ কী অবস্থায় রয়েছে, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

রক্ষণে প্রায় সমান সমান

প্রথমে রক্ষণের কথায় আসা যাক। দুই দলেরই রক্ষণ তেমন মজবুত নয় এবং ধারাবাহিকও নয়। কোন ম্যাচে তাদের ডিফেন্ডাররা কেমন খেলবেন, তা আগে থেকে আন্দাজ করা কঠিন। সব ম্যাচেই তাদের কাছ থেকে ভাল খেলা কঠিন। তুলনামুলক ভাবে এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণ এসসি ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের চেয়ে এগিয়ে আছে বলে মনে হলেও পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথা বলছে।

দুই দলের গোল খাওয়ার পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাবে এসসি ইস্টবেঙ্গল যেখানে ১৩ ম্যাচে ২৫ গোল খেয়েছে, সেখানে এটিকে মোহনবাগান ১০ ম্যাচে ১৮ গোল খেয়েছে। অর্থাৎ যেখানে ম্যাচ প্রতি গড়ে ১.৯২ গোল খেয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল, সেখানে এটিকে মোহনবাগানের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান ১.৮০। খুব বেশি এগিয়ে নেই সবুজ-মেরুন শিবির। দুই দলই দু’বার করে ‘ক্লিন শিট’ রেখে মাঠ ছেড়েছে। কিন্তু লাল-হলুদের ম্যাচের সংখ্যা যেহেতু সবুজ-মেরুনের চেয়ে তিনটি বেশি, তাই এই ব্যাপারে কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন প্রীতম কোটালরাই।    

গোলকিপারদের লড়াইয়ে অবশ্য এগিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলই। এটিকে মোহনবাগানের গোলকিপার অমরিন্দর সিং  যেখানে ১০ ম্যাচে ২৬টি সেভ করেছেন, সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গলের অরিন্দম ভট্টাচার্য (৮/২৩), শুভম সেন (৭/৪) ও শঙ্কর রায় (১/১) তিনজনে মিলে ১৩ ম্যাচে ৩৬টি গোল বাঁচিয়েছেন। এক্ষেত্রে তাদের ম্যাচ প্রতি সেভের গড় ২.৭৭ এবং অমরিন্দরের গড় ২.৬। ট্যাকলের দিক থেকেও খুব সামান্যই তফাৎ দুই পক্ষের মধ্যে (নীচে পরিসংখ্যান দেখুন)। এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলাররা যেখানে প্রতি ম্যাচে গড়ে ৩২.৮টি করে ট্যাকল করেছেন, সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা ম্যাচ প্রতি গড়ে ৩২.৭টি করে ট্যাকল করেছেন এ পর্যন্ত।

শুরুর দিকে বেশি শক্তিশালী ছিল না লাল-হলুদের ডিফেন্স। কিন্তু হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম লেগের ম্যাচ থেকে তাদের রক্ষণ জমাটবদ্ধ হতে শুরু করে ও হোসে মানুয়েল দিয়াজের জায়গায় রেনেডি সিং যখন অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন থেকেই এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। কিন্তু সোমবার হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে ফিরতি লেগের ম্যাচে তাদের সেই পুরনো রোগ ফের দেখা গিয়েছে।

আক্রমণে ধারালো সবুজ-মেরুন

কোচেরা বলেন রক্ষণ ও আক্রমণের মধ্যে সঠিক ভারসাম্যই হল ভাল ফুটবলের জাদুমন্ত্র। কিন্তু কলকাতার দুই দলে এ বারে তা প্রায় নেই বললেই চলে। একই সঙ্গে রক্ষণ ও আক্রমণ বিভাগ ভাল খেলেছে, তাদের এমন ম্যাচ কমই দেখা গিয়েছে এ বারের হিরো আইএসএলে। দিয়াজের সময় আক্রমণ বা রক্ষণ কোনওটাই ভাল ছিল না দলের। রেনেডি দায়িত্ব নেওয়ার পরে রক্ষণের ওপরই জোর দেন। কারণ, ধারালো আক্রমণ করার মতো ফুটবলার তাঁর হাতে তখন ছিল না। নতুন স্প্যানিশ কোচ মারিও রিভেরা এসে দুই বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করেন, যা কাজে লাগে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ২-১ জয়ে। কিন্তু গত ম্যাচে ফের সব কিছুরই দফা রফা হয়ে গিয়েছে। রক্ষণ, আক্রমণ কোনওটাই ঠিক হয়নি সে দিন। এই অবস্থার উন্নতি না হলে ডার্বিতে হয়তো ফের হারতে হবে লাল-হলুদ বাহিনীকে।

গোল করার পরিসংখ্যান দিয়েই বোঝা যায় আক্রমণে কতটা এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান। এ পর্যন্ত দশটি ম্যাচে ২০টি গোল পেয়েছে তারা। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ম্যাচে দু’টি করে গোল করেছেন রয় কৃষ্ণারা এবং জিতেছে চারটি ম্যাচ। কিন্তু এসসি ইস্টবেঙ্গল এ পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে ১৩ গোল করেছে। অর্থাৎ গড়ে একটি করে গোল রয়েছে তাদের। চিরপ্রতিদ্বন্দীদের তুলনায় অর্ধেক। জয়ের সংখ্যা মাত্র এক।  

গোলের উদ্দেশ্যে ক্রস বাড়ানোর সংখ্যা ও গড় হিসেবেও এটিকে মোহনবাগান অনেকটাই এগিয়ে। দশ ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলাররা যেখানে ১০ ম্যাচে ৯৫টি ক্রস বাড়িয়েছেন (গড় ৯.৫), সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ক্রসের সংখ্যা ১৩ ম্যাচে ১০১ (গড়ে ৭.৭)। আসলে সবুজ-মেরুন শিবিরে যেখানে হুগো বুমৌস (৫ গোল), লিস্টন কোলাসো (৫), রয় কৃষ্ণা (৪), ডেভিড উইলিয়ামসের (২) মতো স্কোরার রয়েছে, সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গলে আন্তোনিও পেরোসেভিচ ছাড়া তেমন কেউই নেই। তাও মাঝখানে পাঁচটি নির্বাসিত হয়ে মাঠের বাইরে বসে ছিলেন তিনি। ফলে দলের গোলের সংখ্যা তেমন বাড়েনি। মাঝখানে সেমবয় হাওকিপ (২), আমির দার্ভিসেভিচ (২) ও নাওরেম মহেশরা (২) জ্বলে উঠেও নিভে গিয়েছেন। আক্রমণে ধারাবাহিকতার এই অভাবই এসসি ইস্টবেঙ্গলকে পিছিয়ে রেখেছে। গোল না করতে পারলে যে ফুটবলে জেতা যায় না।

সারা মাঠের খেলায় পিছিয়ে লাল-হলুদ 

সারা মাঠের পারফরম্যান্সের দিক থেকে কে কোথায় দাঁড়িয়ে, সেটাও একবার দেখে নেওয়া যাক। আধুনিক ফুটবলে যেখানে বেশিরভাগ কোচই পাসিং-নির্ভর ফুটবল পছন্দ করে, সেখানে এটিকে মোহনবাগান এ পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ৩৫১১টি পাস খেলেছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ম্যাচে ৩৫১.১টি করে পাস করেছে তারা।

অন্য দিকে, এ পর্যন্ত প্রতি ম্যাচে ২৬২.৬-এর গড়ে ১৩ ম্যাচে ৩৪১৪টি পাস করেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়া যেখানে ১৩ ম্যাচে প্রায় ছ’হাজার পাস করেছে এবং মুম্বই সিটি এফসি যেখানে ৪৭৪৫টি পাস খেলেছে ১১ ম্যাচে, সেখানে কলকাতার দুই দল এই পরিসংখ্যানের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। কিন্তু দুই দলের তুলনা আসে যেখানে, সেখানে এটিকে মোহনবাগান কিছুটা হলেও এগিয়ে।

টাচের সংখ্যার দিক থেকেও এটিকে মোহনবাগান তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। সবুজ-মেরুন শিবির যেখানে ১০ ম্যাচে ৫৩৬১ বার টাচ করেছে, সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা ১৩ ম্যাচে বলে পা লাগিয়েছেন ৫৮৩৮ বার। তারা যেখানে গড়ে প্রতি ম্যাচে ৪৪৯ বার করে বলে পা ছুঁইয়েছে, সেখানে এটিকে মোহনবাগানের টাচের গড় প্রতি ম্যাচে ৫৩৬.১। এ দিক থেকেও তারা কিছুটা হলেও এগিয়ে।

জয়ের শতকরা হিসেবে অনেক ফারাক

অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে লিগ টেবলে এসসি ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে চার ধাপ এগিয়ে থাকলেও এটিকে মোহনবাগান পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যানের গড় হিসেবে তাদের চেয়ে যে সব বিষয়েই এগিয়ে রয়েছে, তা কিন্তু নয়। আক্রমণ বিভাগ ও সারা মাঠের খেলায় এটিকে মোহনবাগান এগিয়ে থাকলেও রক্ষণে কিন্তু দুই দলই কিন্তু প্রায় একই তিমিরে। সেই কারণেই চলতি মরশুমে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জয়ের শতকরা হিসেবও মোটেই ভাল না। গতবারের রানার্স আপ এটিকে মোহনবাগান যেখানে দশটির মধ্যে চারটি ম্যাচ, অর্থাৎ ৪০ শতাংশ ম্যাচ জিততে পেরেছে, সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গল তাঁদের মাত্র ৭.৭ শতাংশ ম্যাচ জিততে পেরেছে।

শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ তাদের ৪২.৭ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে। অথচ পরের দুই দল যথাক্রমে কেরালা ব্লাস্টার্স ও জামশেদপুর এফসি তাদের ৪৫.৪৫ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে। চতুর্থ স্থানে থাকা চেন্নাইন এফসি-ও হায়দরাবাদের মতো তাদের ৪২.৭ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে। অবাক করার বিষয় পাঁচে থাকা মুম্বই সিটি এফসি-ও হায়দরাবাদের চেয়ে বেশি ৪৫.৪৫ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে। শতাংশের হিসেবে ছয়ে থাকা ওডিশা এফসি-ও হায়দরাবাদের সমান ম্যাচ জিতেছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কতটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে লিগ টেবলের ওপরের দিকে থাকা দলগুলোর মধ্যে। এই অবস্থায় একটি জয় মানেই অনেকটা লাফিয়ে ওঠা এবং একটি হার মানে অনেকটাই তলিয়ে যাওয়া। শনিবার এই কথা মাথায় রেখেই নিশ্চয়ই ডার্বি খেলতে নামবে কলকাতার দুই দল।       

পরিসংখ্যানে দুই চির প্রতিদ্বন্দীর পারফরম্যান্স

গোল: এটিকে মোহনবাগান ১০ ম্যাচে ২০ গোল

(সর্বোচ্চ স্কোরার - হুগো বুমৌস ৫, লিস্টন কোলাসো ৫, রয় কৃষ্ণা ৪, ডেভিড উইলিয়ামস ২)

এসসি ইস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে ১৩ গোল

(সর্বোচ্চ স্কোরার – আন্তোনিও পেরোসেভিচ ২, সেম্বয় হাওকিপ ২, আমির দার্ভিসেভিচ ২, নাওরেম মহেশ ২)

ক্লিন শিট: এটিকে মোহনবাগান ১০ ম্যাচে ২ বার (অমরিন্দর সিং ২)

এসসি ইসস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে ২ বার (শুভম সেন ২)

সেভ: এটিকে মোহনবাগান ১০ ম্যাচে ২৬ (অমরিন্দর ২৬/১০)

এসসি ইস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে ৩৬ (অরিন্দম ৮/২৩, শুভম ৭/৪, শঙ্কর ১/১)

পাস: এটিকে মোহনবাগান ১০ ম্যাচে ৩৫১১ (সর্বোচ্চ- প্রীতম ৪০০/১০, ম্যাকহিউ ৩৩৬/৮, বুমৌস ৩২৯/৯)

এসসি ইস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে ৩৪১৪ (সর্বোচ্চ – দার্ভিসেভিচ ২৬০/৮, হীরা ২৬০/১০, রফিক ২৩১/৯, সৌরভ ২২২/১০) 

ক্রস: এটিকে মোহনবাগান ১০ ম্যাচে ৯৫ (সর্বোচ্চ - বুমৌস ২০, মনবীর ১৬, আশুতোষ ১৩, শুভাশিস বোস ১৩)  

এসসি ইস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে ১০১ (সর্বোচ্চ – বিকাশ জায়রু ১৮, পেরোসেভিচ ১৫, মহেশ ১০, হীরা মণ্ডল ১০)

টাচ: এটিকে মোহনবাগান ১০ ম্যাচে ৫৩৬১

(সর্বোচ্চ- প্রীতম ৫৫৩/১০, শুভাশিস ৪৬৮/১০, বুমৌস ৪৪০/৯, ম্যাকহিউ ৪৩০/৮, মনবীর ৪০৯/১০)

এসসি ইস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে ৫৮৩৮

(সর্বোচ্চ – হীরা ৫২৮/১০, রফিক ৩৬৪/৯, সৌরভ ৩৩৫/১০, দার্ভিসেভিচ ৩১৫/৮, অমরজিৎ ৩০০/১১)

ট্যাকল: এটিকে মোহনবাগান ১০ ম্যাচে ৩২৮

(সর্বোচ্চ- শুভাশিস বোস ৩৫/১০, জনি কাউকো ৩৪/৯, প্রীতম ৩৪/১০, ম্যাকহিউ ৩৩/৮, কোলাসো ৩২/১০)

এসসি ইস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে ৪২৫

(সর্বোচ্চ- মহেশ ৪৭/১০, অমরজিৎ ৩৭/১১, রফিক ৩৪/৯, সৌরভ ৩৪/১০, হীরা ৩৩/১০)

ফাউল: এটিকে মোহনবাগান ১০ ম্যাচে ১৩৩

(সর্বোচ্চ- দীপক টাঙরি ১৭, কোলাসো ১৫, কার্ল ম্যাকহিউ ১৪, রয় কৃষ্ণা ১৪, প্রীতম কোটাল ১৩)

এসসি ইস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে ১৬৩

(সর্বোচ্চ – ড্যানিয়েল চিমা ১৯, সৌরভ দাস ১৭, সেম্বয় হাওকিপ ১১, মহম্মদ রফিক ১১, পেরোসেভিচ ১০)