চেন্নাইন এফসি-র কাছে ১-৩ হারের পর এটিকে এফসি-র কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস স্বীকার করে নিলেন, তাঁর দল এ দিন সেরা ফুটবল খেলতে পারেনি বলেই হার মানতে বাধ্য হল। রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচের পর রাতে সাংবাদিকদের হাবাস বলেন,  “চেন্নাই পরিচ্ছন্ন ফুটবল খেলে জিতেছে। ভাল খেলেছে ওরা। আমরা আজ নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি। শুরুতেই গোল খেয়ে যাওয়ায় ও আমাদের একজন খেলোয়াড় (আনাস) চোট পেয়ে যাওয়ায় আমাদের ছেলেদের পারফরম্যান্সের তীব্রতা কমে গিয়েছিল। চেন্নাইনকে অভিনন্দন”।

এটিকে আগে থেকেই সেমিফাইনালে উঠে পড়ায় রবিবারের ম্যাচে জেতাটা তাদের কাছে অতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, যতটা ছিল চেন্নাইন এফসি-র ক্ষেত্রে। রবিবার জিতে তারা পাঁচ নম্বরে উঠলেও সেমিফাইনালে জায়গা এখনও পাকা করতে পারেনি তারা। সম্ভাব। সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছেন নেরিজাস ভাল্সকিসরা। মুম্বই সিটি এফসি-কে হারাতে পারলে সেরা চারে জায়গা করে নিতে পারবে তারা। এক সময়ে লিগ তালিকায় সবার নীচে থাকা দলটিকে এই জায়গা এনে পৌঁছে দিয়েছেন কোচ আওয়েন কোইল।

জয়ের জন্য মরিয়া ছিল বলেই চেন্নাইন এফসি-র পারফরম্যান্সের তীব্রতা তাদের চেয়ে বেশি ছিল বলে মনে করেন হাবাস। বলেন, “আসলে ওদের প্রথম চারে যাওয়ার জন্য তিন পয়েন্ট অবশ্যই দরকার ছিল। আমাদের সেই তাগিদটা ছিল না। তাই বোধহয় আমাদের ছেলেদের খেলায় তীব্রতা তেমন ছিল না। তবে এটা বলতেই হবে যে, রোজ একই রকম ভাল পারফরম্যান্স দেখানো যায় না। কোনও কোনও দিন খারাপ হতেই পারে। আজ আমাদের তেমনই হয়েছে। তবে এটাই পেশাদার ফুটবল। যখন আমাদের পয়েন্টের খুবই দরকার ছিল, তখন আমরা একশো শতাংশ দিয়েছি। আজ আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি”।

ব্যর্থতার জন্য শুধু ডিফেন্ডারদের নয়, পুরো দলটাকেই দায়ী করলেন কোচ। বলেন, “আজ শুধু ডিফেন্সে নয়, পুরো দলটার মধ্যেই সমস্যা ছিল। তাই কোনও একটা বিভাগকে অযথা দোষ দিয়ে লাভ নেই। মানুষমাত্রই ভুল হতে পারে, আমাদের ছেলেদের আজ এ রকম একাধিক হয়েছে। আজ অরিন্দমের দিনটাও ভাল যায়নি। ওরও আজ কতগুলো ভুল হয়েছে”।

আনাসের জায়গায় মাইকেল সুসাইরাজ ও হাভিয়ে হার্নান্ডেজের জায়গায় ডেভিড উইলিয়ামসকে নামানোর উদ্দেশ্য যে আক্রমণে শক্তি বাড়ানো ছিল, তা স্বীকার করে নিয়ে হাবাস বলেন, “আক্রমণের শক্তি বাড়ানোর জন্যই পরিবর্তনগুলো করেছিলাম। আনাস চোট পেয়ে যাওয়ায় পরিকল্পনাও বদলাতে হয় আমাদের। তখন আমরা এক গোলে পিছিয়ে। ডেভিড উইলিয়ামস সদ্য চোট সারিয়ে ফিরেছে। তাই ওকে অল্প অল্প করে ম্যাচে ফেরাচ্ছি।  কারণ, ওর চোটটা খুব গুরুতর ছিল। বেশি চাপ দিলে ওর আবার চোট হয়ে যেতে পারে। তাই সাবধান ছিলাম”।

অন্য দিকে চেন্নাইন এফসি-র কোচ  কোইল বলেন, “আমাদের আজ জিততেই হত। তাই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলব না বলেই ঠিক করেছিলাম। পুরো দলটার মধ্যেই একটা ইতিবাচক ব্যাপার ছিল, যেটা কাজে লেগেছে। তাই ওদের গোল করার প্রবণতা আজ অনেক বেশি ছিল। আমার দলের ভারতীয় ফুটবলাররা আজ খুবই ভাল খেলেছে। ওদের সঙ্গে কাজ করে আমার খুব ভাল লাগছে”।