এসসি ইস্টবেঙ্গলের বদলার ম্যাচ, না এটিকে মোহনবাগানের দাপট বজায় রাখার লড়াই? শনিবার রাতে কী ভাবে এই ম্যাচকে দেখা হবে, তা তো সময়ই জানে। তবে শনিবার সন্ধ্যায় ফতোরদার পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় ম্যাচ যে বরাবরের মতোই আকর্ষণীয় হতে চলেছে, তা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই।

এমন নয় যে, একটা দল লিগ টেবলের শীর্ষে আছে তো অন্যটা একেবারে নীচে। চলতি হিরো আইএসএল টেবলের দিকে তাকালে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগানের মধ্যে দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। এক দল এগারোয়, অন্যরা আট নম্বরে। সবুজ মেরুনের এই জায়গায় থাকার কারণ অবশ্য তাদের কম ম্যাচ খেলা।

মাঝখানে কয়েকটা দিন হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সংসারে যে ভাবে তাণ্ডব চালিয়েছিল কোভিড ভাইরাস, তাতে লিগের ভবিষ্যৎ নিয়েই সঙ্কট দেখা দেয়। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে ভাইরাসের সঙ্গে ধুন্ধুমার লড়াই করে যে ভাবে দেশের এক নম্বর ফুটবল লিগের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সফল হয় ‘টিম হিরো আইএসএল’, তা সাহসিকতার দৃষ্টান্ত হিসেবে চিরকাল মনে রাখার মতো।

কোভিডে সন্ত্রস্ত

লিগকে বাঁচানো গেলেও দলগুলোর ক্ষতি সে ভাবে বাঁচানো যায়নি। ফুটবলাররা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। যাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদেরও ফিটনেসের দিক থেকে আগের জায়গায় ফিরে আসতে সময় লাগছে। কলকাতার দুই দলেও সে রকমই অনেক ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকজন নির্ভরযোগ্য ফুটবলার শারীরিক ভাবে তাঁদের সেরা জায়গায় নেই। কোয়ারান্টাইনের বন্দীজীবন তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলেছে। লড়াইয়ের মানসিকতা, একাগ্রতা যে অনেকটাই কমেছে, তা এটিকে মোহনবাগানের শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্সেই বোঝা গিয়েছে।

দুর্দান্ত খেলেও ওডিশা এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয় সবুজ-মেরুন বাহিনীর সেনাদের। এসসি ইস্টবেঙ্গলের দশা তো আরও শোচনীয়। যে দলটা আগের পাঁচ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে হারে, তার আগের ম্যাচেই লিগের প্রথম জয়ে পেয়েছিল যারা, সেই দলকে হায়দরাবাদ এফসি-র কাছে ০-৪-এ হার মানতে হয়! যতদিন না নিজেদের সেই আতঙ্কের পরিবেশ ও শারীরিক দূর্বলতা থেকে বার করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে না পারবেন দুই দলের ফুটবলাররা, তত দিন সেরা পারফরম্যান্স দেওয়া কঠিন।

শনিবারের ডার্বি না জিততে পারলে গতবারের রানার্স এটিকে মোহনবাগানের কপালে এই মরশুমে দুঃখ রয়েছে। শীর্ষস্থানীয় দলের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। এখন সেটা সাত। তবে আশার কথা এটাই যে, তিনটি ম্যাচ কম খেলেছে তারা। অর্থাৎ, এখনও ন’পয়েন্ট তাদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে। কিন্তু এই তিন ম্যাচের মধ্যে একটিতে হারলে আর নয় না, ছ’পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ থাকবে তাদের সামনে। সেরা চারে থাকার আশা জিইয়ে রইলেও শীর্ষে উঠতে অন্যদের ব্যর্থতার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের।

রক্ষণই ভরসা লাল-হলুদের

লাল-হলুদ শিবিরে এখন সেরা চারে ওঠার ভাবনা যতটা, তার চেয়ে অনেক বেশি চিন্তা নিজেদের শেষ চার থেকে টেনে তোলার। আপাতত এটাই তাদের বাস্তব লক্ষ্য। আর সেটা করতে হলে পরপর কয়েকটা ম্যাচে জিততে হবে তাদের। ডার্বিতে সেই জয় এলে, তা হতাশ সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য হবে যথেষ্ট। এমনিতেই প্রথম জয় পেতে ১২ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। এই জয় সত্ত্বেও সমর্থকদের ক্ষোভের আগুন নেভেনি চার গোলে হারের জন্য। এই অবস্থায় একমাত্র ডার্বিই পারে তাদের শান্ত করতে।

স্প্যানিশ কোচ হোসে মানুয়েল দিয়াজ দেশে ফিরে যাওয়ার পরে রেনেডি সিং দায়িত্ব নিয়ে দলের খোলেয়াড়দের শিখিয়ে দেন কী ভাবে মুম্বই সিটি এফসি-র মতো আক্রমণ-সর্বস্ব দলকে আটকে রাখতে হয়। যাদের কাছে সম্প্রতি চার গোল খেয়েছে লাল-হলুদ বাহিনী, এক মাস আগে প্রথম লেগের ম্যাচে সেই হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেই ১-১ করেছিল তারা। লিগ টেবলের প্রথম চার দলের বিরুদ্ধেই ড্র রয়েছে তাদের। এসসি ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ নিজেদের সেরা দিনে যে দুর্ভেদ্য হয়ে উঠতে পারে, এগুলো তারই উদাহরণ। শনিবার যে তারা চিরপ্রতিদ্বন্দীদের আটকে দেবে না, তা কে বলতে পারে?

রক্ষণের একটা দিকে ধারাবাহিক ভাবে মণিমানিক্য ছড়িয়ে যাচ্ছেন তরুণ সাইড ব্যাক হীরা মন্ডল। রেনেডির প্রশিক্ষণে আদিল খান, অঙ্কিত মুখার্জি, সৌরভ দাসরা যে ভূমিকা পালন করে দলের রক্ষণকে নিশ্ছিদ্র করে তুলেছিলেন, তাতে টমিস্লাভ মর্চেলা, ফ্রানিও পর্চেদের প্রয়োজনই হয়নি বলা যায়। এগারোজন ভারতীয়কে নিয়ে প্রথম দল নামাতেও দ্বিধাবোধ করেননি রেনেডি। এই অবস্থায় যদি দলে দু’জন ভাল ফরোয়ার্ড থাকত, তা হলে এর মধ্যে এক নয় একাধিক ম্যাচ জেতা হয়ে যেত লাল-হলুদ বাহিনীর। সেই সময়ে আন্তোনিও পেরোসেভিচ পাঁচ ম্যাচের নির্বাসনে ছিলেন। তিনি থাকলে হাওকিপ, হামতেদের সঙ্গে নিয়ে কিছু করতে পারতেন হয়তো। কলকাতার লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার রাহুল পাশোয়ানকেও সম্প্রতি দলে নিয়েছে লাল-হলুদ শিবির। আক্রমণে ধার বাড়ানোর জন্য এই তরুণের জোশ-কে কাজে লাগানোর চেষ্টা মারিও রিভেরা করেন কি না, সেটাও দেখার।    

ধারালো আক্রমণে প্রশ্নচিহ্ন রয়

এটিকে মোহনবাগানকে আটকানো যে মোটেই সোজা নয়, তা তারা টের পেয়েছে মরশুমের প্রথম ডার্বিতেই। তিন গোল হজম করতে হয়েছিল সেই ম্যাচে। ২৩ মিনিটের মধ্যে রয় কৃষ্ণা, মনবীর সিং ও লিস্টন কোলাসোর গোলে হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তাদের। ১০ ম্যাচে ২০ গোল দেওয়া (গড়ে প্রতি ম্যাচে দু’গোল) এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণ বিভাগকে যে অনেকেই লিগের অন্যতম সেরা বলছেন, তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। হুগো বুমৌস যে ভাবে গোল করে চলেছেন ও সতীর্থদের গোল সাজিয়ে দিচ্ছেন এবং লিস্টন কোলাসো যে সমস্ত জায়গা থেকে গোলের শট নিচ্ছেন, তার পরে তাদের সেরা বলাই চলে।

নেহাত রয় ও মনবীরের সময়টা ভাল যাচ্ছে না। না হলে তাদের গোলের সংখ্যা যে আরও বাড়ত, এই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। যত গোল করেছে তারা, তার দ্বিগুন গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে। এর মধ্যে আর একটা খারাপ খবর, এই ডার্বিতে নাও খেলতে পারেন রয় কৃষ্ণা। শুক্রবার সাংবাদিকদের তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন কোচ হুয়ান ফেরান্দো। রয়ের চোট আছে। কিন্তু এই ম্যাচে তাঁকে খেলালে চোটটা যদি বেড়ে গিয়ে ২-৩ সপ্তাহের জন্য তিনি মাঠের বাইরে চলে যান, এই আশঙ্কায় তাকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এটা এসসি ইস্টবেঙ্গল শিবিরের পক্ষে একটা ভাল খবর হতে পারে। কিন্তু এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। যদিও ফেরান্দো রয়ের না খেলার কথা নিশ্চিত ভাবে বলেননি। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান তিনি। রয় না খেললে হুগো বুমৌস, ডেভিড উইলিয়ামসকে জুটি বাঁধতে হবে। তাঁদের সঙ্গে লিস্টন কোলাসো তো রয়েছেনই। তবে এ রকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মনবীরকে প্রথম এগারোয় রাখতে চাইবেন কি না কোচ, সেটাই দেখার। কিন্তু গত ম্যাচের মতো হাফ ডজন গোলমুখী শট মারা সত্ত্বেও গোল না পেলে বুঝতে হবে, দিনটা তাদের নয়।

রক্ষণ বনাম আক্রমণ

এসসি ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশি অতিথি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্সেলো রিবেইরো গত ম্যাচে শেষ ৩০ মিনিট খেলে একটা পেনাল্টি আদায় করা ছাড়া আর তেমন কিছুই করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে এমন হতেই পারে। ডার্বিতে শুরু থেকেই তাঁকে পেরোসেভিচের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে এটিকে মোহনবাগানের দুর্বল রক্ষণের ওপর চাপ বাড়াতে পারেন মারিও রিভেরা। এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণ নিয়ে তো কোচের চিন্তা রয়েছেই। যদিও গত ম্যাচে ‘ক্লিন শিট’ রেখেই মাঠ ছাড়েন প্রীতম কোটালরা। তবু ওডিশার ফুটবলাররা তিনটি গোলমুখী শট নিয়েছিলেন, যা বাঁচিয়ে দেন অমরিন্দর। সন্দেশ ঝিঙ্গনকে এই ম্যাচে রক্ষণে পাওয়া গেলে অবশ্য সবুজ-মেরুন ডিফেন্সের শক্তি বাড়তে পারে। 

সোজা কথা হল, ইদানীং দুই দলেরই অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে এবং শনিবার যারা সেগুলো মাঠের বাইরে রেখে নামতে পারবে, তারাই হয়তো শেষ হাসি হাসবে। মারিও রিভেরা শুক্রবার সাংবাদিকদের ঠিকই বলেছেন, ডার্বি সব সময়ই ৫০-৫০। কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে আগে থেকে বলা কঠিন। কিন্তু এসসি ইস্টবেঙ্গল গত তিন বছর ধরে যে ভাবে একের পর এক ডার্বি হেরে চলেছে, তার পরে এই ম্যাচ এলেই আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেন তাদের সমর্থকেরা। এ বারেও আশা করে বসে থাকার মতো অবস্থা নেই। কিন্তু কলকাতা ডার্বি এমনই এক বিচ্ছিন্ন যুদ্ধ, যেখানে আগে-পরে, ওপরে-নীচে কী আছে বা কী হয়েছে, সে সবের ওপর কোনও কিছুই নির্ভর করে না। এই ম্যাচে একটাই মন্ত্র— মাঠে নামো, মাথা ঠাণ্ডা রেখে ভাল খেলো এবং হাসিমুখে মাঠ ছাড়ো।

নজরে কারা?

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে শুরু থেকে নেমে সকলের নজর কেড়ে নেন ডেভিড উইলিয়ামস। লিগের শুরু থেকে তিনি পরিবর্ত হিসেবে নামছিলেন। কিন্তু সেই ম্যাচেই প্রথম দলে ছিলেন এবং ১২ সেকেন্ডের মাথাতেই দুর্দান্ত গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। শুধু গোল করা নয়, সারা ম্যাচে হায়দরাবাদের শক্তিশালী ডিফেন্স তাঁকে সামলাতে হিমশিম খেয়ে গিয়েছে। ওডিশা এফসি-র ডিফেন্ডারদেরও একই হাল হয় সেই ম্যাচে। কিন্তু কাজের কাজটি করে উঠতে পারেননি। রয় কৃষ্ণা খেলতে না পারলে কোচ ডেভিড উইলিয়ামসকে প্রথম দলে না রেখে পারবেন না বোধহয়।

গত মরশুমে হায়দরাবাদ এফসি থেকে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিয়ে নিজেদের শিবিরে নিয়ে আসা লিস্টন কোলাসো-র ওপর ভরসা করে রয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। কোলাসো এখন ফুটবল জীবনের সেরা ফর্মে। গত দু’টি ম্যাচে সে ভাবে খাপ খুলতে না পারলেও ডার্বিতে তিনি কেমন খেলবেন, তা অবশ্যই অন্যতম আকর্ষণ। গত ডার্বিতে তাঁর ঠাণ্ডা মাথায় অসাধারণ গোলের কথা অনেকের মনে আছে নিশ্চয়ই। এ পর্যন্ত পাঁচটি গোল করে ফেলেছেন কোলাসো। সেই গোলের সংখ্যা বাড়ে কি না দেখা যাক।

পাঁচটি ম্যাচে নির্বাসন কাটিয়ে গত সোমবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে ফেরেন ক্রোয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড আন্তোনিও পেরোসেভিচ। এসসি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ বিভাগে এখন পর্যন্ত তিনিই একমাত্র উজ্জ্বল তারকা। তবে এই প্রত্যাবর্তন ম্যাচে তেমন ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। আটটি ম্যাচে দু’টি গোল করে ও একটি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। পাঁচটি ম্যাচে মাঠের বাইরে না থাকলে হয়তো আরও গোল করতেন। তবে পাঁচ ম্যাচের নির্বাসন তাঁকে যে কিছুটা শ্লথ করে দিয়েছে, তা গত ম্যাচে তাঁকে দেখে মনে হয়েছে।

লাল-হলুদের নতুন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড মার্সেলো রিবেইরোকে শনিবার পেরোসেভিচের সঙ্গে শুরু থেকে দেখা যাবে কি না, তার কোনও ইঙ্গিত কোচ দেননি। তবে গত ম্যাচে শেষ ৩১ মিনিটে তাঁকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্তের মধ্যে এই ইঙ্গিত হয়তো লুকিয়ে ছিল। নিজেদের ঘর গুছিয়ে আক্রমণে ওঠার যে পরিকল্পনা এসসি ইস্টবেঙ্গল শিবিরের রয়েছে, তাতে ঘর গোছানোর লোক থাকলেও আক্রমণে ওঠার লোকের অভাব। পেরোসেভিচকে যোগ্য সঙ্গত করার লোক এতদিন কেউ ছিল না। এ বার মার্সেলো সেই কাজটা করতে পারলে হয়তো তাদের দলের গোলখরা কাটবে।  

এটিকে মোহনবাগান স্কোয়াড

গোলকিপার: অমরিন্দর সিং, অভিলাষ পাল, অর্শ আনোয়ার শেখ;

ডিফেন্ডার: তিরি, আশুতোষ মেহতা, সুমিত রাঠি, শুভাশিস বোস, প্রীতম কোটাল, সন্দেশ ঝিঙ্গন, প্রবীর দাস, মাইকেল সুসাইরাজ, দীপক টাঙরি, গুরসিমরত গিল, জোস আরোয়ো, রবি রাণা, রিকি সাবং;

মিডফিল্ডার: জনি কাউকো, কার্ল ম্যাকহিউ, হুগো বুমৌস, বিদ্যানন্দ সিং, শেখ সাহিল, অভিষেক সূর্যবংশী, লেনি রড্রিগেজ, ইঙ্গসন সিং;

ফরোয়ার্ড: রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, কিয়ান নাসিরি।

এসসি ইস্টবেঙ্গল স্কোয়াড

গোলকিপার: অরিন্দম ভট্টাচার্য, শুভম সেন, শঙ্কর রায়;

ডিফেন্ডার: আদিল খান, স্যারিনিও ফার্নান্ডেজ, রাজু গায়কোয়াড়, হীরা মন্ডল, জয়নার লরেন্সো, অঙ্কিত মুখার্জি, ড্যানিয়েল গোমস, গৌতম সিং, আকাশদীপ সিং, টমিস্লাভ মরচেলা ও ফ্রানিও পর্চে;

মিডফিল্ডার: অমরজিৎ সিং কিয়াম, জ্যাকিচন্দ সিং, রোমিও ফার্নান্ডেজ, সৌরভ দাস, সংপু সিঙসিট, লালরিনলিয়ানা হামতে, আঙ্গুসানা ওয়াহেংবাম, মহম্মদ রফিক, বিকাশ জায়রু, লোকেন মেতেই, ড্যারেন সিডোল;

ফরোয়ার্ড: নাওরেম মহেশ সিং, থঙখোসিম সেম্বয় হাওকিপ, বলওয়ন্ত সিং, সিদ্ধার্থ শোরোদকর, শুভ ঘোষ, আন্তোনিও পেরোসেভিচ, মার্সেলো রিবেইরো ডস স্যান্টোস, রাহুল পাশোয়ান।     

ম্যাচ: এটিকে মোহনবাগান বনাম এসসি ইস্টবেঙ্গল

তারিখ ও সময়: ২৯ জানুয়ারি, সন্ধ্যা ৭.৩০

ভেনু: পিজেএন স্টেডিয়াম, ফতোরদা

সম্প্রচার: স্টার স্পোর্টস ২, স্টার স্পোর্টস ২ এইচডি, স্টার স্পোর্টস ৩, স্টার স্পোর্টস ১ হিন্দি, স্টার স্পোর্টস ১ হিন্দি এইচডি, স্টার স্পোর্টস ১ বাংলা

অনলাইন স্ট্রিমিং: ডিজনি+হটস্টার ও জিও টিভি